শিরোনাম :

  • রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

দেশে আক্রান্তদের ৮৫ ভাগই ঢাকা বিভাগে

আতাউর রহমান |

দেশে এ পর্যন্ত ৩২ হাজার ৬৭৪ জনের পরীক্ষা করে তিন হাজার ৭৭২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১২০ জনের, সুস্থ হয়েছেন ৯২ জন। আক্রান্তদের প্রায় ৮৫ শতাংশই ঢাকা বিভাগের।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান। বুলেটিনে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোহাম্মদ শহীদউল্লাহও বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিন ও অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে পাওয়া চিত্র অনুসারে, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৫.২৬ শতাংশ মানুষই ঢাকা বিভাগের। এর মধ্যে ৪৫.৫১ শতাংশ (১৪৭০ জন) ঢাকা মহানগরীতে এবং ৩৯.৭৫ শতাংশ (১২৮৪ জন) ঢাকা বিভাগের অন্য জেলাগুলোতে।

মোট আক্রান্তের মধ্যে মাত্র ১৪.৭৪ শতাংশ ৫৭ জেলায়। আর শতকরা হার হিসাবে ঢাকা বিভাগের পর ৪.৪৬ চট্টগ্রামে, ৩.৯৩ ময়মনসিংহ বিভাগে, ২.১০ শতাংশ বরিশাল বিভাগে, ১.৭৭ শতাংশ রংপুর বিভাগে। এ ছাড়া বাকি তিনটি বিভাগের আক্রান্তের হার ১ শতাংশের নিচে; এর মধ্যে সবচেয়ে কম ০.৫৯ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়েছে সিলেট বিভাগে।

গতকাল বুলেটিনে জানানো হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাঁদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব তিনজন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে দুজন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে তিনজন ও ২১-৩০ বছরের মধ্যে দুজন। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকার সাতজন এবং ঢাকার বাইরে নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলে একজন করে রয়েছেন।

আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ কম কেন—এ বিষয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, সুস্থ হতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। উপসর্গসহ ১৪ দিন সময় লাগে, এরপর ধীরে ধীরে সুস্থ হয় এবং এই সময়ে দুটি নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হলেই রোগীকে সুস্থ বলা হয়।

বুলেটিনে জানানো হয়, ঢাকা মহানগরী, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদীতে সর্বাধিক আক্রান্ত। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জে কোয়ারেন্টিনে থাকা ৬৮১ জনের মধ্যে ৫৯৮ জন কোয়ারেন্টিন মুক্ত হয়েছেন। তাঁরা সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। করোনায় দেশে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন তরুণরা।

বুলেটিনে সবাইকে ঘরে থাকা, সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা, বারবার হাত ধোয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়। বুলেটিনে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহৃত পিপিই সামগ্রী নিয়ে বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন।