ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের বিভেদ পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের লাভবান করবে – খেলাফত মজলিস
গোটা দেশের কারাগার ভাঙতে হবে, পিছু হটবার সুযোগ নেইঃ মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গোটা দেশকে আজ কারাগারে পরিণত করা হয়েছে। সেই কারাগার ভাঙতে হবে । একইসঙ্গে হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এ আলোচনার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, একজন সৈনিক (জিয়া) এসেই অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্ত করেছিলেন। অথচ বঙ্গবন্ধু গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করেও শেষে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তার কর্মের মধ্যে দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। অথচ সেই মহান নেতাকেই আজ খলনায়কে পরিণত করার চক্রান্ত চলছে। শুধু তাই নয় শেরেবাংলা নগর থেকে তার সমাধি সরানোর চক্রান্তও চলছে। তাতে কিছু যায় আসে না। কারণ তিনি মানুষের অন্তরে রয়েছেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, যে লোকটি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন তিনি গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেন। পরে একজন সৈনিক এসে গণতন্ত্রকে মুক্ত করে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেন। সেই জিয়াউর রহমানকে খলনায়ক বানানোর চক্রান্ত চলছে।
দলীয় নেতাকর্মীদেরকে উদ্দেশে তিনি বলেন, শুধু রাজনীতি ও বক্তব্য দেয়ার জন্য নয়, সত্যিকার অর্থে জিয়াকে স্মরণ করতে হবে। তার আদর্শকে ধারণ করে কাজ করতে হবে।
বিএনপির বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন— দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মোস্তাহিদুর রহমান।
আলোচনা সভা সঞ্চালনায় ছিলেন দলটির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম ব্যানারে থাকলেও তিনি আসেননি। এ ব্যাপারে দলের পক্ষ থেকে কিছু বলাও হয়নি।