• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

মুক্তিযুদ্ধে শেখ হাসিনার কোনো অবদান নেই: শাহ্ মোয়াজ্জেম

Moyajjemনিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে শেখ হাসিনার কোন অবদান নেই। বরং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অবদান আছে। কেননা বেগম খালেদা জিয়া সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রী । জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছেন। জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা ও যুদ্ধ করেননি। তিনি আওয়ামী লীগকে আওয়ামী লীগ করার পারমিশন দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।

আজ রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী ভবনে বিএনপির ¯’স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাস ভবনে হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর বিএনপি।

শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ বিভাগকে দলীয় অঙ্গ-সংগঠনে পরিনত করেছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পুলিশ বিভাগকে দলীয় অঙ্গ-সংগঠনে পরিণত করেছে। তিনি আরো অনেক প্রতিষ্ঠানকে অঙ্গ সংগঠনে পরিণত করেছেন। এর আগে ইয়াহিয়া, আইয়ুব খানেরা কি পেরেছে, দুনিয়ার কোন জালেমরা কি পেরেছেন। আপনিও এ ভাবে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।

তিনি বলেন, দেশের অবস্থা ভয়াবহ। সারা পৃথিবীর মানুষ দেখছেন আপনি কি করছেন। আপনি বিনা ভোটে জবর দখল করে ক্ষমতায় রয়েছেন। হৃত অধিকার ও গণতন্ত্র পুনুরুদ্ধার করতে দলের নেতাকর্মীদের বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে জিয়ার সৈনিকদের দায়িত্ব নিতে হবে।

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের বক্তব্যের সমালোচনা করে শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, আপনি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বললে মামলা দেওয়া হবে। আপনি তো মামলা বিভাগের মন্ত্রী না; পোকা খাওয়া বিভাগের মন্ত্রী।

আইন মন্ত্রী আনিসুল হকের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তিনি সংসদে দাড়িয়ে বলেছেন, বিচারপতি খায়রুল হকের রায় ঠিক আছে। সংবিধানে এ অধিকারটা দেওয়া আছে। তিনি আইনের লোক হয়ে কিভাবে বলেন। দয়া করে সংবিধানটা একটু দেখে নিবেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা আমেরিকা থেকে দেশে ফিরলে তাকে ¯স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পরিণতিই ভোগ করতে হবে বলে মনে করেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।

মির্জা আব্বাস ও এমকে আনোয়ারসহ অনেককে জেলে রাখা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ঢাকা মহানগর বিএনপিতে সাদেক হোসেন খোকার অবদানের কথা কে না জানে। দুরারোগ্য রোগে তিনি আমেরিকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারপরেও তার বিরুদ্ধে মামলার পর মামলা। তিনি যদি দেশে আসেন তার কপালেও একই পরিণতি হবে, যা মির্জা আব্বাস ও এমকে আনোয়ারের কপালে হয়েছে।

ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কাজী আবুল বাসারের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূঁইয়াসহ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব ।

Print Friendly, PDF & Email