ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের বিভেদ পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের লাভবান করবে – খেলাফত মজলিস
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ১২ দিনের কর্মসূচি
নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভাসহ ১২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।
বুধবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বিএনপি মহাসচিব উত্তরার নিজের বাসায় এই ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করেন।
কর্মসূচি ঘোষণা করে মির্জা ফখরুল জানান, ৩০ মে সকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সকল মহানগর ও জেলা কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন, বেলা ১১টায় ঢাকায় শেরে বাংলানগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শুধুমাত্র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুস্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিকাল সাড়ে ৩টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলের প্রতিষ্ঠাতার স্মরণে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা।
এ ছাড়া ১ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ডের ওপরে বিষয়ভিত্তিক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হবে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় দেশের কয়েকজন বরণ্যে বুদ্ধিজীবী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা অংশ নেবেন।
তিনি জানান, বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সভার বিষয়গুলো হচ্ছে- ‘স্বাধীনতা যুদ্ধ ও শহীদ জিয়া’, ‘গণতন্ত্র, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও বিএনপি’, ‘শহীদ জিয়া ও উৎপাদন-উন্নয়নের রাজনীতি’, ‘স্বনির্ভর বাংলাদেশ ও অর্থনৈতিক সংস্কার’, ‘শহীদ জিয়ার কৃষি বিপ্লব’, ‘নারী ক্ষমতায় ও শিশু কল্যাণ’, ‘কর্মসংস্থান ও শ্রমিক কল্যাণ’, ‘শিক্ষা ও গণশিক্ষা’, ‘পল্লী বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ উন্নয়ন’, ‘স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ’, ‘শহীদ জিয়ার বিদেশনীতি এবং ‘শহীদ জিয়ার যুব উন্নয়ন’।
প্রতিবছর জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর মহানগরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দুঃস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করা হলেও এবার প্রস্তুত করা খাদ্যের পরিবর্তে খাদ্য সামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব। তবে এসব সামগ্রী বিতরণকালে কোনোভাবেই কোনো সমাবেশ করা যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে যে নিয়মের বিষয়ে বলা হয়েছে সেটা মেনে চলা সবার দায়িত্ব।
এ সময়ে বিএনপি মহাসচিব করোনাভাইরাসে বিশিষ্ট কয়েকজন নাগরিকসহ যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত এবং করোনাভাইরাসে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের আশু রোগমুক্তি কামনা করেন।
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিহত হন।