শিরোনাম :

  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪

সতর্ক থেকে বিপ্লবকে অর্থবহ ও সংহত করতে হবে : মির্জা ফখরুল

নিউজডেস্ক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বাকশালী স্বৈরাচার সরকারের পতন হলেও পরাজিত শক্তি আওয়ামী লীগ এখনো দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করে চলেছে। তাই সতর্ক থেকে নব বিপ্লবের এই পরিবর্তনকে অর্থবহ ও সংহত করতে হবে।’

‘এজন্য ঐক্যবদ্ধ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করতে হবে। তাহলেই এর সুফল দেশবাসীর ঘরে ঘরে পৌঁছানো সম্ভব হবে।’

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বেলা ১১টায় ঢাকা থেকে সৈয়দপুর বিমানবন্দর হয়ে সড়কপথে ঠাকুরগাঁও যাওয়ার সময় নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক পথসভায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। শহরের শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে (সাবেক শহীদ স্মৃতি চত্বর) উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্রের অনেক লক্ষণ ইতোমধ্যে প্রকাশ হয়েছে এবং তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। এর মধ্যে সাবেক প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে ক্যু ঘটানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপর নির্যাতনের ধোঁয়া তুলে ইস্যু তৈরির মাধ্যমে আগের মতোই মিথ্যেচার করে জুজুর ভয় সৃষ্টি করেছে। যা সংখ্যালঘুদেরসহ প্রশাসন ও সরকারকে বিচলিত করে করে তুলেছে।’

‘এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে দেশবাসীকে মুক্ত করতে দেশের বৃহৎ দল হিসেবে আমাদেরকেই কাজ করতে হবে। এজন্য সকল নেতাকর্মীকে দায়িত্ব নিয়ে হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতার মাধ্যমে সকল অরাজকতা মোকাবেলা করে স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। মানুষ অনেক আশা নিয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তাদের সে আশা পূরণ করতে হবে,’ বলেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিগত ১৭ বছর দেশ একটি কারাগারে পরিণত হয়েছিল। আয়নাঘরের মতো বর্বরতার নজির বিশ্বসভায় আমাদের মাথাকে নিচু করে দিয়েছে। সৈয়দপুরের মানুষও সেই নির্মতার হাত থেকে রেহাই পায়নি। এখানকার নেতাকর্মীরাও হামলা-মামলা ও চরম নির্যাতনের শিকার। কিন্তু আমরা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করবো না। কারণ আমরা শহীদ জিয়ার সৈনিক।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শত নির্যাতনের পরও অন্যায়ের সাথে আপস করেননি, দেশ ছেড়ে পালিয়েও যাননি। চরম অসুস্থত অবস্থায়ও তিনি গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের সমাবেশে বক্তব্য দিয়ে বলেছেন আর হানাহানি কাটাকাটি নয়, দেশকে গড়তে সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। যাতে কোনো অপশক্তি আমাদের এই বিপ্লবকে নস্যাৎ করতে না পারে। নেত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী কোনো প্রতিশোধ নয় বরং ক্ষমার মাধ্যমে সবাইকে আপন করে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।’

এসময় সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল গফুর সরকার, সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম জনি ও সুমিত কুমার আগারওয়াল, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আকতার, সহ-সাধারণ সাধারণ সম্পাদক শাহীন আকতার, সহ-সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন পাপ্পু, এরশাদ হোসেন পাপ্পু, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রামানিক, বিএনপি নেতা শওকত হায়াৎ শাহ, শাহিন আকতারসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।