নিম্নমানের সামগ্রী চট্টগ্রামে ১২ ডাক্তারের মৃত্যুর কারণ: বিএমএ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া নিম্নমানের সুরক্ষাসামগ্রী ব্যবহারের কারণে চট্টগ্রামের ১২ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)। সংগঠনের নেতাদের দাবি, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিয়েছেন ডাক্তাররা। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বলি হচ্ছেন তারা।

চট্টগ্রামে গত এপ্রিলে দুজন চিকিৎসক আক্রান্ত হলেও মে মাসে শনাক্ত হয়েছেন ৮৬ জন। জুনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৩ জন। সর্বশেষ চলতি মাসের গত ২১ দিনে ১৪৩ জন চিকিৎসক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১২ চিকিৎসক।

চট্টগ্রামে করোনায় মারা যাওয়া চিকিৎসকরা হলেন আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের গাইনি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. সুলতানা লতিফা জামান আইরিন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের (চমেক) অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সমিরুল ইসলাম বাবু, মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসক নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডা. ললিত কুমার দত্ত, চমেকের জরুরি বিভাগের (ইএমও) ডা. মুহিদুল হাসান, বেসরকারি মেরিন সিটি মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. এহসানুল করিম, বেসরকারি মেট্রোপলিটন হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. নুরুল হক, জেমিসন হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. সাদেকুর রহমান, ডা. আরিফ হাসান, চসিকের অবসরপ্রাপ্ত ডা. মোহাম্মদ হোসেন, ডা. জাফর হোসেন রুমি। তাদের মধ্যে দুজন ছাড়া বাকি ৮ জনই বেসরকারি হাসপাতাল ও প্রাইভেট চেম্বারে প্র্যাকটিস করতেন।

বিএমএর কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ডা. শেখ শফিউল আজম বলেন, নিম্নমানের সুরক্ষাসামগ্রীর কারণে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন চিকিৎসকরা। এ ছাড়া যথাযথভাবে পিপিই পরিধান পদ্ধতি বৈজ্ঞানিকভাবে মানা হয়নি। সেরকম প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়নি। চিকিৎসকদের পাশে অন্যান্য যেসব স্বাস্থ্যকর্মী থাকেন তাদের অনেকের পিপিই নেই। যাদের আছে তারাও ঠিকমতো ব্যবহার করতে জানেন না। ফলে চিকিৎসকরা সংক্রমিত হয়েছে দ্রুত।

তিনি আরও বলেন, সরকারিভাবে পিপিই ও মাস্ক দেওয়া হচ্ছে। তাও আদৌ আসল, নাকি নকল আমরা জানি না। কিন্তু চিকিৎসকরা সেগুলো ব্যবহার করেই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। নকল ও মানহীন সুরক্ষাসামগ্রী পরিধানের ফলে করোনা পজিটিভ রোগীর সংস্পর্শে এসে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসকরা। যারা এসব নকল ও মানহীন সুরক্ষাসামগ্রী সরবরাহ করেছেন সেসব ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনতে হবে।

ডিএন/সিএন/জেএএ/৯:২৬এএম/২৪৭২০২০১

Print Friendly, PDF & Email