ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের বিভেদ পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের লাভবান করবে – খেলাফত মজলিস
বিপদসীমার উপরে পদ্মার পানি, ন্সীগঞ্জের ১৮৯ গ্রাম প্লাবিত
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি।
মুন্সীগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। অপরদিকে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত পদ্মায় তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ঈদের আগে পদ্মার পানি কমার সম্ভাবনা নেই। এ অবস্থায় আতঙ্ক বেড়েছে দুর্ভোগে পড়া মানুষের।
এ পর্যন্ত জেলার চার উপজেলা মুন্সীগঞ্জ সদর, লৌহজং, টঙ্গীবাড়ী ও শ্রীনগরে ২৯টি ইউনিয়নের ১৮৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে লৌহজং উপজেলার ৪৯টি গ্রাম, শ্রীনগর উপজেলার ৬৮টি গ্রাম, টংগিবাড়ী উপজেলার ৪২টি গ্রাম, সদর উপজেলার ২৪টি গ্রাম ও গজারিয়া উপজেলার ৬টি গ্রাম। এর ফলে জেলার মুন্সীগঞ্জ সদর, লৌহজং, টঙ্গীবাড়ী ও শ্রীনগরে ৪০ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বুধবার (২৯ জুলাই) সকালে মুন্সীগঞ্জের পদ্মানদীর ভাগ্যকূল পয়েন্টে পানি প্রবাহ ছিল ৭.০৫ মিটার উচ্চতায়। যা বিপৎসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার উপরে। যা গত একদিনের ব্যবধানে এক সেন্টিমিটার কমেছে পদ্মার পানি। পদ্মা নদী হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের দিকে যাচ্ছে উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানি। এতে নদীতে তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায় জানান, সরকারিভাবে বানভাসিদের জন্য ৪৭ মেট্রিকটন চাল, ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৫ লাখ টাকার গো খাদ্য, ২ লাখ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। ৬০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুস বুলবুল জানান, জেলায় ২৪৭ মেট্রিকটন চাল, জিআর ক্যাশ ৩ লাখ টাকা, শিশু খাদ্য ২ লাখ টাকা, গো খাদ্য ৫ লাখ টাকা এবং ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সহকারী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, উজান থেকে নেমে আসা স্রোতে পদ্মায় আগামী কয়েকদিন পানি অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তাই ঈদের আগে পদ্মার পানি কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি।
ডিএন/এফএন/জেএএ/৯:৩৭পিএম/২৯৭২০২০২৩