আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
তুরস্কের গুলেন মুভমেন্ট : ইসলাম সমর্থক না বিরোধী?
আবদুল হাফিজ খসরু: তুরস্কে বার বার আলোচনার শিরোনাম হচ্ছে গুলেন মুভমেন্ট। তুরস্কভিত্তিক এই সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও আন্তধর্মীয় সংলাপ আন্দোলনের নেতা হচ্ছেন ফতেহ উল্লাহ গুলেন বা ফেতুল্লা গুলেন। এই আন্দোলনের মৌলিক ভিত্তির মধ্যে ইসলাম এবং বিশেষ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের ছোঁয়া থাকলেও তা সব ধরনের রাজনৈতিক বা মতাদর্শিকতার বেড়াজাল হতে মুক্ত। গুলেনের আন্দোলনের সাথে সেক্যুলার দৃষ্টিভঙ্গিরও অনেক মিল রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে এরদোগান সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত ফেতুল্লাহ গুলেন ও তার মুভমেন্ট। সম্প্রতি ১৫ জুলাই’১৬তে ঘটে যাওয়া সামরিক ক্যু’র সাথেও গুলেনের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। গুলেন বর্তমানে আমেরিকার পেনসিলভানিয়ায় ১৯৯৯ সাল থেকে স্বেচ্ছায় নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন। তাকে কেউ কেউ ইসলামপন্থী নেতা হিসেবেও ভাবেন। যদিও্ ইসলাম সম্পর্কে তাঁর অনেক চিন্তাধারা ও বক্তব্য আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের মতাদর্শ বিরোধী।
ফেতুল্লা গুলেন ১৯৪১ সালের ২৭ এপ্রিল তুরস্কের এরজুরুম নামক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৫ সালে তিনি কুরআন শিক্ষা শুরু করেন। এরপর তিনি ১৯৪৬ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৪৯ সালে তার বাবা অন্য একটা শহরে বদলি হওয়াই তিনিও সেখানে চলে যান। পরবর্তীতে তিনি ১৯৫১ সালে কুরআনে হাফিজ হন। এরপর বিভিন্ন শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন ও তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সমাপ্তি ঘটান। এরপর তিনি ইমাম হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। আবেগঘন ওয়াজ নাসিহতের মাধ্যমে তিনি অল্প সময়ের মধ্যেই তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ইজমিরে খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তার আধ্যাত্মিক গুরু ছিলেন তুরস্কের খ্যাতিমান স্কলার ও কামাল আতাতুর্কের সেক্যুলার নীতির শুরু থেকেই কট্টোর বিরোধী বদিউজ্জামান সাইদ নুরসী ও তার বিখ্যাত তাফসির গ্রন্থ ‘রিসালায়ে নুর’। ফেতুল্লা গুলেন ৬০’র দশকে রাজনৈতিক ব্যাপারে তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন ও সেনা অভ্যুত্থান এর বিরুদ্ধে তার অভিমত ব্যক্ত করেন।গুলেন সরাসরি রাজনীতিতে কখনো জড়াননি তবে ক্ষমতা পরিবর্তনে নিয়ামকের ভূমিকা পালন করেছেন। এই সকল কারণে তিনি জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
ফেতুল্লাহ গুলেন এবং তার চারপাশের একদল ত্যাগী, নিষ্ঠাবান ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক এবং স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের একটি সামাজিক সেবা প্রদানকারী গ্রুপ হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছিল এই গুলেন মুভমেন্টের। পশ্চিমা স্কলারদের নিকট এককথায়, এটি গুলেন আন্দোলন (গুলেন মুভমেন্ট) হিসেবে পরিচিত। গুলেন মুভমেন্টের স্বেচ্ছাসেবীদের নিকট এটি হিজমেত বা ‘স্বেচ্ছাসেবী আন্দোলন’ হিসেবে পরিচিত। ফেতুল্লাহ গুলেন এই আন্দোলনকে ‘মানবিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ একদল লোকের আন্দোলন’ হিসেবে উল্লেখ করেন। মুসলিম-বিশ্বাসভিত্তিক আন্দোলন হিসেবে এটি ১৯৬০ সালের দিকে যাত্রা শুরু করে। আর এই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল ছাত্র-বৃত্তি, ছাত্রাবাস, স্কুল-কলেজ এবং কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে শিক্ষা-সেবা নিয়ে। বিগত চার দশকের মধ্যে এটি জাতীয় পর্যায় থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে এটি শিক্ষাক্ষেত্র হতে আন্তঃসাংস্কৃতিক, আন্তঃধর্মীয় সংলাপ ইত্যাদি ক্ষেত্রে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে। বর্তমানে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে কয়েক মিলিয়নে। গুলেন মুভমেন্টের অনুসারীদের রয়েছে শত শত ফাউন্ডেশন, কোম্পানি, পেশাজীবী সংগঠন এবং অসংখ্য আনুষ্ঠানিক, উপানুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক সামাজিক সংগঠন ও সংস্থা।
এই আন্দোলনের আওতায় সেক্যুলার কারিকুলাম অনুসারে তুরস্কে তিন শতাধিক এবং বিশ্বের ১৮০টি দেশে সহস্রাধিক স্কুল পরিচালিত হচ্ছে। যদিও বিগত ২০১৪ সালে রাশিয়ান সরকার ফেতুল্লা গুলেনের সকল কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাদের রাশিয়া থেকে বিতাড়িত করে। তুরস্কের প্রভাবশালী কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়েরও মালিক ফেতুল্লা গুলেন। এছাড়া তুর্কি ও ইংরেজি ভাষায় বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া প্রতিষ্ঠান এই আন্দোলনের আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। ৯০-এর দশকে গুলেনের ‘আন্তঃধর্মীয় সংলাপ’ এই আন্দোলনকে বেশ জনপ্রিয় করে তোলে। ১৯৯৮ সালে ফেতুল্লা গুলেনের আয়োজনে দেশের সেক্যুলার ও ইসলামপন্থী বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে একটি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। যা দেশে-বিদেশে সবার নজর কাড়ে।
কিন্তু ৯০’র দশকের শেষদিক থেকে ফেতুল্লা গুলেনের ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটতে থাকে। ইসলামকে একটা রাজনৈতিক আদর্শ হিসেবে ব্যবহারের ব্যাপারে ফেতুল্লা গুলেনের ঘোরতর আপত্তি ছিল। শিক্ষা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর জোর দিয়ে আন্দোলন গড়ে তুললেও তা বেশিদিন নিরপেক্ষ থাকতে পারেনি। এক পর্যায়ে ইয়াহুদি ও পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীর নজরে ভালোভাবে পড়ে যায় তুরস্কের রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাব বিস্তারকারী নেটওয়ার্ক এই গুলেন মুভমেন্ট। সে সময়ের মিল্লিগুরুশ জামিয়ার (নাজিমুদ্দিন এরবাকান/এরদোগান/আবদুল্লাহ গুল যে আন্দোলন থেকে এসেছেন) সকলের কাছে ১৯৯০ এর পর থেকে একটা বিষয় পরিস্কার ছিল যে, গুলেন মুভমেন্টের পিছনে আমেরিকার বিশাল সাহায্য রয়েছে এবং এফবিআই/সিআইএ’র সঙ্গে তাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ২০০৫ সালে এফবিআই নিজেদের ওয়েবসাইটে তাদের সহযোগী সংস্থাদের নাম প্রকাশ করে যাতে চার নাম্বারে ছিল “দি গুলেন ইনস্টিটিউট” তথা গুলেন মুভমেন্ট। এরপর থেকে যারা ইসলামি আন্দোলনের কাজে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে আসছেন ফেতুল্লা গুলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্লেইম শুরু করেন।
১৯৯৬ সালে ড. নাজমুদ্দিন এরবাকানের নেতৃত্বে ইসলামপন্থীদের ক্ষমতাগ্রহণে অর্ধ শতাব্দীকাল যাবত সেক্যুলারদের যাঁতাকলে পিষ্ট তুরস্কবাসীর মনে আশার আলো জ্বলে উঠে।এরবাকান সেই সময়ে প্রায় সকল ইসলামপন্থীর সামাজিক প্রতিষ্ঠান থেকে সমর্থন লাভ করলেও ফেতুল্লাহ গুলেন থেকে তিনি কোন রকম সাহায্য সহযোগিতা পাননি। এরবাকানের সেই সময়ের সহযোগী ছিলেন তুরস্কের বর্তমান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট যথাক্রমে এরদোগান ও আবদুল্লাহ গুল। এরবাকান ক্ষমতায় আরোহণ করার পরপরই ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর জন্য কাজ করা শুরু করেন। যেটা আমেরিকা-ইসরাইলসহ অন্যান্য ইয়াহুদিবাদী শক্তি ভালোভাবে নেয়নি। এরবাকানকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য তারা উঠে পড়ে লাগে,এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে পদচ্যুত করে। দুঃখজনক হলেও সত্য এর পেছনে ফেতুল্লা গুলেনেরও হাত ছিল।
১৯৯৭ সালের ১৬ এপ্রিল তিনি এক টেলিভিশন প্রোগ্রামে বলেছিলেন, এরবাকান তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করার যোগ্য ছিলেন না। তিনি জনগণের আমানতকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে পারেননি। তার এই মন্তব্যে মুসলিমরা খুবই মর্মাহত হন।একদিকে বাম ও জাতীয়তাবাদীরা অপরদিকে ফেতুল্লা গুলেনের কথাবার্তা ও তাদের বিভিন্ন বক্তৃতা বিবৃতি আরবাকানের রেফাহ পার্টির জন্য মোকাবেলা দু:সাধ্য হয়ে যায়। নাজিমুদ্দিন এরবাকানের প্রতিষ্ঠিত মাদরাসা বন্ধ করার ব্যাপারে তার প্রকাশ্য সম্মতি ছিল।সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের হিজাব পরার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় সর্বত্র এর বিপক্ষে নতুন করে আন্দোলন গড়ে ওঠে। গুলেন সে সময় এসব মুসলমানদের বিপক্ষে অবস্থান নেন এবং তার সংগঠনের অধীনস্থ মেয়েদেরকেও হিজাব খুলে ক্লাস করার জন্য বলেন। ফেতুল্লাহ গুলেন রেফাহ পার্টি যাতে ক্ষমতায় না থাকতে পারে সে জন্য ইয়াহুদিদের সাথে হাত মিলান এবং পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালের নির্বাচনে গণতান্ত্রিক বাম আন্দোলনের নেতা বুলেন্ত এযেভিতকে সমর্থন করেন। সেই সময়ে টিভি-পত্রপত্রিকাতে এরবাকানকে সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং আখিরাতে তিনি বুলেন্ত এযেভিত কে শাফায়াত করবেন বলেও ঘোষণা করেন।
২০০০ সালে রেফাহ পার্টিকে নিষিদ্ধ করে দেয়ার পর ফাযিলেত পার্টি খুলা হয়। আর সেখানে যুবনেতা হিসেবে পরিচিত আবদুল্লাহ গুল, রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান ও বুলেন্ত আরিঞ্ছদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলেন। ২০০১ সালে এদের নেতৃত্বে একে পার্টি গঠন করার সময় কৌশলগত কারণে এরদুগান ফেতুল্লাহ গুলেন ও তার সংগঠন গুলেন আন্দোলনের সহযোগিতা নেন। এরদোগান ও তার প্রথম ৯ বছরের শাসনামলে তাদেরকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করেন। সরকারি সকল জায়গাতেই তারা স্থান দখল করে সরকারের ভেতর সরকার গঠন করে। কিন্তু নানা বিষয়কে কেন্দ্র করে ফেতুল্লাহ গুলেনের সাথে এরদোগানের একে পার্টির সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে পরবর্তীতে ২০১৩ সালে একেপি ও গুলেন এর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রূপ নেয়। সবশেষ ইস্তাম্বুলের গাজি পার্কের আন্দোলনের সময় এরদুগানকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য প্রশাসনে তার লোকজন এবং বামদের ঐক্যবদ্ধ করেন ফেতুল্লা গুলেন। কিন্তু এরদুগান অনেকটা সফলতার সাথে সে সমস্যা কাটিয়ে ওঠেন।
প্রথমদিকে রজব তায়েফ এরদুগানের ক্ষমতায় আসার জন্য একটি বড় গোষ্ঠীর ভোটের প্রয়োজন ছিল। কারণ তুর্কিবাসীর বিশাল একটা অংশের ওপর গুলেনের অনেক প্রভাব রয়েছে। তাই তিনি গুলেন মুভমেন্টের সাথে গভীর একটা সম্পর্ক গড়ে তুলেন এবং পার্টি গঠনের এক বছরের মাথায় ক্ষমতায় আসেন। ক্ষমতায় আসার পর ফেতুল্লাহ গুলেন যেন অদৃশ্য প্রধানমন্ত্রী বনে গেলেন। তিনি আমেরিকার পেনসিলভানিয়াতে বসে যাকে যে পোস্টে দিতে বলেন তাকে সে পোস্টে দেয়া হয় এক পর্যায়ে দেখা যায় পুলিশ-সেনাবাহিনী থেকে শুরু অফিস-আদালত পর্যন্ত সব জায়গায় গুলেন মুভমেন্টের লোকের ব্যাপক এবং ভয়ঙ্কর উপস্থিতি। গুলেন মুভমেন্টের লোক হলেই পদ দেয়া হয়েছে। যা জেনেশুনে পায়ে কুড়াল মারারই শামিল বলে মনে করতেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশজুড়ে রয়েছে গুলেন মুভমেন্টের হাজার হাজার কোচিং সেন্টার। সেসব কোচিং সেন্টারের গোপনে গুলেন মুভমেন্ট সম্পর্কে ব্রেইন ওয়াশ করা হয়। সেটা ছিল ওপেন সিক্রেট একটা ব্যাপার। কোচিং সেন্টার গুলোর ফিও ছিল গরিবদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। এরদোগান তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ক্রমান্বয়ে মুসলিম বিশ্বের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির কাজটা করে যাচ্ছিলেন এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দিয়ে তদস্থলে ফ্রি কোর্সের ব্যবস্থা করা হবে। এরকম একটা সিদ্ধান্ত গুলেন মুভমেন্ট সহজভাবে নিতে পারেনি। তারা এরপর থেকে এরদোগানের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগে।
এরমধ্যে এরদোগানের বিরুদ্ধে ফেতুল্লাহ গুলেনের করা একটা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার শিকার হয়েছে। ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর তথাকথিত দুর্নীতির অভিযোগ এনে এরদোগানসহ মন্ত্রিপরিষদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে গ্রেফতারের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। যেটা চলে ২৫ ডিসেম্বর ২০১৩ পর্যন্ত। কিছু মন্ত্রীর রদবদলের মাধ্যমে কোন রকম কাটিয়ে ওঠেন এ বিপদ থেকে। সর্বশেষ গত ১৫ জুলাই’১৬ রাতের অন্ধকারে সেনাবাহিনীকে সমর্থন দিয়ে এরদোগানের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটান গুলেন ও তার পশ্চিমা সহযোগীরা।কিন্তু এরদোগানের লাখ লাখ জানবাজ কর্মীবাহিনী ও বিশ্বস্ত প্রশাসন রাতভর রাজপথে থেকে তা রুখে দাঁড়ায়। তাই এবারও ব্যর্থ হলো গুলেন মুভমেন্টের ইসলামী স্বার্থবিরোধী ষড়যন্ত্র।