আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
পশ্চিমের বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভের পেছনে দারিদ্র, বৈষম্য: কানাডীয়ান অধ্যাপকের মূল্যায়ন
নিউজ ডেস্ক |
কানাডার ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটির রাজনীতি বিজ্ঞানের অধ্যাপক আহমেদ শফিকুল হক বলেছেন, পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বর্ণবাদ বিরোধী তুমুল বিক্ষোভের পেছনে দারিদ্র এবং দীর্ঘদিনের বৈষম্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বেই দারিদ্র এবং বৈষম্য বেড়েছে। সে কারনেই জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকে কেন্দ্র করে প্রথমে আমেরিকায় এবং পরে অন্যান্য শহরে এভাবে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছে। তিনি বলেন, বিচারহীনতার দীর্ঘ সংস্কৃতিও এই আন্দোলনকে উসকে দিয়েছে।
কানাডার বাংলা পত্রিকা নতুনদেশ এর প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগরের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের সাম্প্রতিক বর্ণ বৈষমের বিরুদ্ধে গড়ে উঠা আন্দোলন নিয়ে আয়োজিত ফেসবুক লাইভে তিনি এই মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক আহমেদ শফিকুল হক বলেন, জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকান্ড এবং পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ মার্কিন নির্বাচনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করবে। ক্ষমতাসীনদের জন্য এটি এক ধরনের ঝুঁকি তৈরি করেছে। আবার মার্কিন ভোটারদের মধ্যে সরকারকে ‘শক্তিশালী’ হিসেবে দেখার প্রবণতা আছে। সে কারনেই ডোনাল্ড ট্রাম্প মক্তি দেখানোর চেষ্টা করেছেন।
পাঁচ বছর আগে মার্কিন পুলিশের হাতে একই কায়দায় নির্মভাবে নিহত হওয়া এরিক গার্নারের বিবরন তুলে ধরে অধ্যাপক আহমেদ শফিক বলেন সে সময় একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও সেই হত্যাকান্ডে অভিযুক্তদের বিচার হয়নি। আদালতের বাইরে ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে সেটির মীমাংসা হয়েছে।
পশ্চিমা বিশ্বে বর্ণবাদ এবং বৈষম্য টিকে থাকার পেছনে ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বাংলাদেশের নিখিল তালুকদার হত্যার প্রসঙ্গটিকে এরিখ, ফ্লয়েড এর ঘটনার মতোই বলে উল্লেখ করেন।
আলোচনায় নতুনদেশ এর প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগর বাংলাদেশের পুলিশের হাতে নিহত নিখিল তালুকদারের ঘটনা তুলে ধরে বলেন, জর্জ ফ্লয়েড ওবামা সরকারের আমলের এরিক গার্নার এবং বাংলাদেশের নিখিল তালুকদারের হত্যার ঘটনার মধ্যে অভিন্নতা আছে। তিনটি হত্যাকান্ডই একই কায়দায় ঘটেছে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই পুলিশ অভিযুক্ত। তিনটি হত্যাকান্ডেই ঘটনার পর পর বিচারকে বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করা হয়েছে।
ডিএন/আইএন/বিএইচ