পরীক্ষা ছাড়াই করোনার রিপোর্ট, রিজেন্টের ব্যবস্থাপকসহ আটক ৮

নিজস্ব প্রতিবেদক।

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার না করেই নেগেটিভ বা পজিটিভ রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে।

ওই হাসপাতালটিতে অভিযান পরিচালনার পর আজ সোমবার সন্ধ্যায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।

এসময় সেখান থেকে হাসপাতালটির ব্যবস্থাপকসহ আটজনকে আটক করা হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. শাহেদ পলাতক।

তিনি বলেন, ‘রিজেন্ট হাসপাতাল, তারা রোগীর নমুনা সংগ্রহ করেছিল ঠিকই কিন্তু কোনোটাই তারা পরীক্ষা করেনি। পরীক্ষা ছাড়াই তারা নেগেটিভ-পজিটিভ রিপোর্ট দিয়েছে।’

সারোয়ার আলম বলেন, ‘আমরা কয়েকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে কিছু রিপোর্ট কালেকশন করি। এরপর সেই রিপোর্টগুলো আমরা ভেরিফাই করেছি। সেগুলো ছিল ফেক (ভুয়া) রিপোর্ট।’

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিযানকালে ২৮টি রিপোর্ট হাতেনাতে পাওয়া গেছে। যেগুলোর নমুনা আসলে পরীক্ষার জন্য যায়ইনি। সবগুলোই ভুয়া রিপোর্ট।’

সারোয়ার আলম আরও বলেন, ‘এই নমুনা পরীক্ষার নামে প্রত্যেকের কাছে থেকে তারা ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে নিয়েছে। এভাবে প্রায় তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রিজেন্ট হাসপাতাল।’

প্রসঙ্গত, কোভিট-১৯ পরীক্ষার নামে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে আজ দুপুরের পর থেকেই অভিযান শুরু করেছিল র‌্যাব।

সারোয়ার আলম আরও জানান, অভিযানে দেখা গেছে, রিজেন্ট হাসপাতালের লাইসেন্স ২০১৪ সালে শেষ হয়ে যায়। এরপর আর লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি। কীভাবে সরকার এমন একটি হাসপাতালের সঙ্গে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা চুক্তিতে গেল, তা খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে র‌্যাবের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সরেজমিনে ঔষধ প্রশাসনের পরিচয়সংবলিত লোকজনকে দেখা গেছে।

সারোয়ার আলম আরও বলেন, র‌্যাব এমন একটি অভিযান চালাবে তা টের পেয়েছেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শাহেদ। অন্য কেউ তাঁর নামে এমন অপকর্ম করছেন, এমন মর্মে শাহেদ দিন দুয়েক আগে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সারোয়ার আলমের ভাষ্য, মূলত নিজের অপরাধ ঢাকতে শাহেদ জিডির আশ্রয় নিয়েছেন।

 ডিএন/সিএন/জেএএ/০১০:৩৩পিএম/০৬০৭২০২০২৭

Print Friendly, PDF & Email