মৃত্যুর ৩০ মিনিট পরও সচল ছিল আলীর হৃৎপিণ্ড!

2016_06_05_12_01_12_4HYBrD36lwEjdeESjCuTrSqpZxm4iJ_originalনিউজ ডেস্ক, দেশনিউজ.নেট: হাসপাতালে জীবনের অন্তীম মুহূর্তে মোহাম্মদ আলী। সর্বকালের সেরা এ মুষ্টিযোদ্ধাকে ঘিরে উদ্বিগ্ন স্বজনরা। আছেন স্ত্রী, মেয়েরাও। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে দু’দিন আগে ভর্তি হন মুষ্টিযুদ্ধের ইতিহাস বদলে দেয়া এ ক্রিড়াবিদ।

নিভে আসছির প্রিয়জনের প্রাণপ্রদীপ। দেখছেন একে একে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। একসময়  চিকিৎসকরা বুঝলেন কোনো কিছুই আর কাজ করছে না, জানালেন স্বজনদেরও। সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দৃশ্যমান ক্রিয়া-প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও মোহাম্মদ আলীর হৃৎপিণ্ড সক্রিয় ছিল বেশ কিছুক্ষণ। সক্রিয় থাকার সময়কাল ছিল প্রায় ৩০ মিনিট।

বাবা মোহাম্মদ আলীর মৃত্যু সময়ের বর্ণনা দিতে গিয়ে নিজের ফেসবুকে এ তথ্য জানিয়েছেন মেয়ে হানা আলী।

মৃত্যুর সময় মুষ্টিযুদ্ধের জনপ্রিয় এ ক্রিড়াবিদের বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, মোহাম্মদ আলী সেপটিক শকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ৩২ বছর ধরে পারকিসসন রোগে ভুগছিলেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্স হাসপাতালে গত বুধবার শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় আলীকে ভর্তি করা হয়। সেখানেই শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ১০ মিনিটে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনবারের হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন ও বিশ্বের ‘গ্রেটেস্ট’ ক্রিড়াবিদ ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার এই সংগ্রামী নেতা। বাবা মোহাম্মদ আলীর জীবনের শেষ মুহূর্তের বর্ণনা দিতে গিয়ে মেয়ে হানা আলী বলেছেন, ‘মৃত্যুশয্যায় পরিবারের সব সদস্য হাজির ছিল। আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারছিলাম তিনি আমাদের ছেড়ে চিরজীবনের জন্য চলে যাচ্ছেন। আমরা তাকে জড়িয়ে ধরেছি, চুমু খেয়েছি। তার কানের কাছে সারাক্ষণ দোয়া দুরুদ এবং কালেমা পড়ছিলাম। তখন তার শরীরের সমস্ত অঙ্গ স্থির হয়ে গেছে। কেবল সক্রিয় ছিল তার হৃৎপিণ্ড।’

শারীরিকভাবে নিস্ক্রিয় হয়ে গেলেও তার হৃদপিণ্ড সচল ছিল আরো ৩০ মিনিট ধরে। এ ধরনের ঘটনা এর আগে দেখা যায়নি। হানা আলী এ ঘটনাকে তার প্রবল ইচ্ছাশক্তির প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন (‘true testament to the strength of his spirit and will’)।

Print Friendly, PDF & Email