আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
অসুস্থ হলে কাউকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তুলবেন নাঃ প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অসুস্থ হলে দেশেই নিজের চিকিৎসা করানোর কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমি যদি অসুস্থ হয়ে পড়ি তাহলে আমাকে বিদেশ নেবেন না। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তুলবেন না। আমি দেশের মাটিতেই চিকিৎসা নেব। শুক্রবার গাজীপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মেমোরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী এ দিন ওই হাসপাতালে নিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।
মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আরও আগেই আমার বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে এখানে আসার ইচ্ছা ছিল। আমরা চিন্তা করেছি, ভবিষ্যতে এইখানে আমরা একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করবো। দেশে জনসংখ্যার তুলনায় ডাক্তারের সংখ্যা আরও বৃিদ্ধ করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, এখানে একটি আন্তর্জাতিক মানের নার্সিং ইনস্টিটিউট রয়েছে। জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার চিন্তা থেকেই আমাদের এই উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ শ্রমিক। এখানে সাধারণ মানুষের সংখ্যাই বেশি। তাদের চিকিৎসা কষ্ট লাঘব করা এবং চিকিৎসা সেবা দেয়া আমাদের কর্তব্য। এছাড়া এই এলাকায় উন্নতমানের হাসপাতালের সংখ্যা কম। সেই চিন্তা থেকেই এখানে এই হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেই।
হাসপাতাল কতৃর্পক্ষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যেহেতু এখানকার বেশিরভাগ রোগী আর্থিকভাবে অসচ্ছল। তাই তাদেরকে আর্থিক দিক থেকে সুবিধা দিতে হবে।’ এক্ষেত্রে তিনি ডাক্তারদের কনসালটেন্সি ফি কমানোরও পরামর্শ দেন।
হাসপাতালের ফান্ডে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে আরও ১০ কোটি টাকার অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু হাসপাতালটি আমাদের মায়ের নামে, তাই এখানে আমাদের পরিবারের সবাই অনুদান দিবে। আপনাদের এবং হাসপাতালের যে কোন সমস্যা আমাদের নিয়মিত জানাবেন। চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে উপস্থিত সবাই দেশের স্বনামধন্য ডাক্তার। এছাড়া দেশের অনেক ভালো ডাক্তার ইতোমধ্যে অবসরে গেছেন। আমরা তাদেরকে এখানে যুক্ত করতে পারি। যদি কোন ডাক্তার এখানে এসে চিকিৎসাসেবা দিতে আগ্রহী হন, তারা প্রতিদিন এখানে আসতে পারেন। এভাবেই আমরা এ হাসপাতালকে আরও উন্নত করে তুলতে পারবো। আমি বলতে চাই, জনগণের সেবা করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল (কেপিজে) হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার সময় চিন্তা করলাম, আমাদের একার পক্ষে এটি পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাই মালয়েশিয়ার খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান কেপিজে-কে যুক্ত করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী, শেখ রেহানা ও আমি এটি উদ্বোধন করি। এখান থেকে আমরা কোন লাভ নিতে চাই না। প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালের ম্যানেজমেন্ট কমিটিকে নিয়মিত সভা করে চিকিৎসা সেবা আরও উন্নত করার পরামর্শ দেন।