আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
ঘরোয়া ক্রিকেটকে পাপনের দুই শর্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক।
করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভুত বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে বেশ কিছু শর্ত মেনে দেশে সীমিত আকারে খেলাধুলা আয়োজনের অনুমতি দিয়েছে সরকার।
তবে সহসাই মাঠে ফিরছে না ঘরোয়া ক্রিকেট। ঢাকা লিগ প্রসঙ্গে বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান জানালেন, দুটি কন্ডিশন ঘরোয়া লিগ শুরু হতে পারে।
আজ শনিবার দুপুরে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাপন বলেন, ‘দুইটি কন্ডিশন হলে লিগ শুরু হতে পারে। আমি এখন পযর্ন্ত যা জানি।
নম্বর ওয়ান, করোনা পরিস্থিতি যদি উন্নতি করে। দ্বিতীয়ত, ভ্যাকসিন আসে। এই দুইটা ছাড়া লিগ চালু করার যৌক্তিকতা দেখি না। কোনো একটা লজিক থাকতে হবে তো। একটা দুইটা দেশ ট্রাই করছে খেলা ফেরানোর। ইংল্যান্ড ছাড়া কোথাও খেলা হচ্ছে না। আমরা সাহস দেখাতে গিয়ে এখন বিপদ ডেকে আনা…। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি করতে হবে নয়তো ভ্যাকসিন আসতে হবে। এজন্য আমরা অপেক্ষা করছি।’
করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ দলের সব সূচি এলোমেলো হয়ে গেছে। পাপন বলেন, ‘আমরা অলরেডি বেশ কয়েকটি সূচি মিস করে ফেলেছি। আমাদের এখানে অস্ট্রেলিয়ার, নিউজিল্যান্ডের আসার কথা ছিল। পাকিস্তানের সাথে একটা টেস্ট বাকি আছে। আয়ারল্যান্ড সফরও আছে। আমরা কবে খেলব না খেলবো, মোটামুটি সবকিছুর রি-সিডিউল আমরা প্রস্তুত করে ফেলেছি। খেলাগুলো বাদ যাচ্ছে না এক্সসেপ্ট ওয়ান। আমরা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এখনও কিছু নিশ্চিত করতে পারেনি। কারণ শুধু আমাদের না, ওদের সাথেও টাইমিং মেলাতে পারছি না। ওইটা ছাড়া প্রত্যেকটা আমরা খেলতে পারব।’
শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে জাতীয় দল ব্যস্ত সময় পার করবে। কিন্তু জাতীয় দলের বাইরে থাকা খেলোয়াড়দের বেকার সময় কাটবে। তাদের উদ্দেশ্যে পাপন বলেন, ‘শুধু জাতীয় দল না সবার জন্য আমার বার্তা- আমি ক্রিকেট বোর্ড দেখে বলছেন ওদের কথা, সারা বাংলাদেশের মানুষ, সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য একটাই বার্তা-এ সময়টা সবার জন্য এরকমই। কিছু করার নেই। আপনার লক্ষ্ লক্ষ, কোটি কোটি লোক চাকরি হারাচ্ছে। কোটি কোটি মানুষের আয় নেই, ব্যবসা নেই। এটা একটা অনিশ্চিয়তা। এজন্য আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি কত দ্রুত সম্ভব এটা থেকে বের হতে পারি। ভ্যাকসিন আসলে সব ঠিক হয়ে যাবে এমন নিশ্চিয়তা নেই। যদি ভ্যাসকিন আসবে, ট্রায়াল হবে, সেটা প্রয়োগ হবে- সব কিছুর জন্য সময় লাগবে। খুব খারাপ সময় যাচ্ছে। ক্রিকেট বোর্ড থেকে তাদের কিভাবে পাশে থাকা যায়, সাহায্য করা যায় সেটার চেষ্টা অবশ্যই করবো। এটাতে কোনো সন্দেহ নেই।’
বিপিএল শুরু হলে বিদেশি খেলোয়াড়রা কী অংশ নেবে? বিপিএল প্রসঙ্গে পাপন জানান, আইপিএলের মতো খেলা দেশের বাইরে হচ্ছে। কেননা বিদেশি খেলোয়াড় ভারতে আসতে পারছে না। এ ব্যাপারে সতর্কভাবে সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি।
ক্রিকেটাররা ব্যক্তিগত অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলছেন। সব কিছুই ঠিক-ঠাক মতো চলছে। তবে এখনো ক্রিকেটারদের করোনা পরীক্ষা করা হয়নি। ব্যক্তিগত ভাবে আগ্রহ দেখানোয় বিসিবি অনুশীলনে ব্যবস্থা করে দিয়েছে। ক্রিকেটাররা যে শতভাব নিরাপদ তা বলা যাচ্ছে না।
পাপন বলেন, ‘এদের কারো টেস্ট হয়নি। তাইতো ওরা যে নিরাপদ আমরা তো বলতে পারছি না। এখন ওদের জন্য যে ক্যাম্প করবো, ওদের জন্য একট হোটেল রাখতে হবে। ওই হোটেলে যে স্টাফ তাদের তো টেস্ট করিনি। ওদের হাউস কিপিং, খাওয়া-দাওয়া কোথা থেকে হবে সেগুলো তো আমি জানি না। রিস্ক থাকবেই। এখন এটাকে কিভাবে মিনিমাইজ করা যায়। সেজন্য ওদেরকে এটাই সাজেস্ট করেছি যত অনুশীলন কম করে এটাকে শ্রীলঙ্কায় নিয়ে যাওয়া।’
প্রথমে ব্যক্তিগতভাবে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাবেন ক্রিকেটাররা। বিসিবির অনুমোদিত ল্যাব থেকে পরীক্ষা করাতে হবে। সব ক্রিকেটারদের করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আশা করছেন পাপন। তবে ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার পর কয়ে ধাপে আবারও তাদের পরীক্ষা করা হবে। মোট তিনটি টেস্ট হবে।
পাপন বলেন, ‘যতটুকু সম্ভব স্ট্রিক্ট হবো। এমন একটা হোটেল চাই, বাসা চাই যেখানে বাইরের কেউ নেই। ফাইভ স্টারে যেতে হলে একটা দুইটা ফ্লোর পুরোপুরি ওদের জন্য আলাদা। ওখানে কোনো ক্লিনার কেউ ঢুকতে পারবে না। আইসোলেশন যেভাবে করতে হয় সেভাবে করতে হবে। হোটেল না দিলে বাসা দেখতে হবে।’
ডিএন/সিএন/জেএএ/১০:১৮পিএম/১৫৮২০২০২৫