পেশাজীবীদের দিয়ে অন্তরবর্তীকালীন নির্বাচনের পরামর্শ আ স ম রবের

Rob-2নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিল্পী-সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি অন্তরবর্তীকালীন নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আ স ম আবদুর রব।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ২ মার্চ স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তেব্যে আবদুর রব বলেন, ‘বর্তমান মন্ত্রিসভায় কি স্বাধীনতা বিরোধী ব্যক্তি নেই? কবে ছিল না? মুস্তাকের পর থেকে সব সময়ই ছিল। গত ৪৫ বছরে যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার সপক্ষে তাদের কার কি অবদান ছিল?’

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা এই সিংহাসন কোথায় পেলেন? সেদিন আমরা যদি পতাকা উত্তোলন না করতাম, স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ না করতাম তাহলে কি আপনারা এই সিংহাসনে বসতে পারতেন? আজ আপনাদের এতো অহমিকা আসে কোথায় থেকে?’

স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত নয়, চুরি হয়ে যাচ্ছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘১০০ বছর পর হলেও কেউ না কেউ সঠিক ইতিহাস লিখবে।’
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে রব বলেন, ‘রাস্তায় বেড় হলেই অপহরণ, অপহরণ হলেই লাশ, লাশ হলেই পানিতে। আর ঘরে শুয়ে থাকলে সাগর-রুনী হতে হয়। জনগণ তাহলে কোথায় যাবে?’

সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘মাহমুদুর রহমানকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দিয়ে আটকিয়ে রেখেছেন, দুই বছর পার হয়ে গেলো তিনি কি রাষ্ট্রদ্রোহিতা করেছেন সেটা প্রমাণ করতে পারলেন না।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে কার্যত স্বাধীনতা ছিল মাত্র ২৪ দিন, ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।’

গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘শেখ হাসিনার হাতে সুকৌশলে ইতিহাস পরিবর্তীত হচ্ছে। স্বাধীনতার ইতিহাস এককেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। ৭ মার্চ ও ৬ দফা নিয়ে অনেক কথা হয়। অথচ স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন ও স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ নিয়ে কোনো কথা হয় না।’

শহীদের সংখ্যা নিয়ে সৃষ্ট মতভেদের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘আইসিটি অ্যাক্ট ও অন্যান্য আইনের ধারায় আমাদের মুখ বন্ধ করতে পারলেও বিদেশিদের মুখ বন্ধ করা যাবে না। বিষয়টি নিয়ে বিদেশিরা আলোচনা করছে।’

আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক শাহজাহান সিরাজ, লেখক ও সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মতিন হিরু, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও রাজনীতিক বেগম রাবেয়া সিরাজ প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email