ফাহিমের শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন, সন্দেহভাজন আটক

দেশনিউজ ডেস্ক।

পুরো শরীর কেটে ফেলার আগে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয় বাংলাদেশি রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাও’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহকে। তার শরীরে বেশ কয়েকটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মূলত ঘাড় ও কাঁধে ছোরার আঘাতে ফাহিমের মৃত্যু হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের (এনওয়াইপিডি) করা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শহরের চিফ মেডিকেল এক্সামিনারের কার্যালয় থেকে দেওয়া ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এক পুলিশ সদস্য জানান, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ফাহিমকে আগে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়। তার শরীরে বেশ কয়েকটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘাড় ও কাঁধে ছুরি মারায় তার মৃত্যু হয়। নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে কেটে টুকরো টুকরো করা হয়।

গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটনের অ্যাপার্টমেন্টে বাংলাদেশি রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাও’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহর খণ্ড-বিক্ষণ্ড দেহ উদ্ধার করে এনওয়াইপিডি। হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে তদন্ত স্বার্থে তার নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

গত বুধবার থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার কোনো এক সময় ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে এনওয়াইপিডি। এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘বোঝা যাচ্ছে গ্রেপ্তার ব্যক্তিই খুনি। কিন্তু তিনি পাগলের ভান ধরেছে। তাকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে পুরো ঘটনার তথ্য বের করে আনার চেষ্টা করছে সদস্যরা।’

এদিকে ফাহিমের পরিবার বলছে, প্রকৃত খুনিকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত তাদের মন শান্ত হবে না। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছেন তারা।

এর আগে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ (এনওয়াইপিডি) জানায়, বাংলাদেশি রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাও’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহর খুনে স্যুট-টাই-গ্লাভস-মাস্ক পরিহিত এক ব্যক্তি জড়িত। এ ছাড়া ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্টে তার হত্যাকাণ্ডের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে। তিনি ফাহিম যে ভবনে বসবাস করেন সেটির সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই বাছাই করা হয়েছে। গত সোমবার শেষবার ফাহিম তার ঘরে ঢোকেন। এরপর তাকে আর বের হতে দেখা যায়নি। তিনি যখন বাসায় ঢুকছিলেন, তার পেছন পেছন স্যুট-টাই-গ্লাভস-মাস্ক পরিহিত এক ব্যক্তিকে ঢুকতে দেখা যায়। সন্দেহভাজন খুনি ‘অত্যন্ত পেশাদার’ বলে মন্তব্য করেছে এনওয়াইপিডি।

‘ডিএন/সিএন/জেএএ/২:৪১পিএম/১৭৭২০২০১০

Print Friendly, PDF & Email