নিজস্ব প্রতিবেদক |

সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন ‘নোয়াব’ -এর সভাপতি, এফবিআইয়ের সাবেক সভাপতি, হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে আজাদ করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন।তি‌নি প্লাজমা থেরাপি নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

গত ২০ মে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এ কে আজাদের শরীরে প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়। এখন তি‌নি বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। শ‌নিবার (২৩ মে) সং‌শ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বিষয়‌টি নিশ্চিত করেছেন।

এ কে আজাদ অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী হা-মীম গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সা‌বেক সভাপতি তিনি।

এ কে আজাদ দৈনিক সমকালের প্রকাশক ও চ্যানেল ২৪- এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক বলেছেন, গত ২০ মে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে একে আজাদের শরীরে প্লাজমা দেওয়া হয়।

দেশে পরীক্ষামূলকভাবে প্লাজমা থেরাপি দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত কমিটির সদস্য ওই চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে শীর্ষ অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজকে বলেন, ঢাকা মেডিকেলে প্রথম সংগ্রহ করা দুই ব্যাগ প্লাজমার এক ব্যাগ দেওয়া হয়েছে একে আজাদকে।

তিনি বলেন, “বুধবার আমরা ওই প্লাজমাটা দিয়েছি মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডা. ওয়াহিদুজ্জামান এবং সিএমএইচে হা-মীম গ্রুপের এমডি আজাদ সাহেবকে। তারা এখন ভালো আছেন।”

এ বিষয়ে কথা বলতে একে আজাদের ব্যক্তিগত সহকারী মো. নজরুলের সঙ্গে বিডিনিউজের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “তিনি একটু অসুস্থ, এখন বাসাতেই আছেন।”

সিএমএইচ থেকে কবে বাসায় ফিরেছেন জানতে চাইলে নজরুল বলেন, “ডেট তো বলা যাচ্ছে না।”

সভাপতি এ কে আজাদ (৬১) মূলত প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন তৈরি পোশাকের ব্যবসা দিয়ে। তার হা-মীম গ্রুপ দেশে টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাতের অন্যতম বৃহৎ গ্রুপ।

এই গ্রুপের ব্যবসা এখন ছড়িয়ে আছে বস্ত্র, প্যাকেজিং, পাট, চা, রসায়ন, পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতে। আজাদ শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকেরও একজন পরিচালক। 

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আজাদ ছাত্রজীবনে যুক্ত ছিলেন বাম রাজনীতিতে। গত কয়েকটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আজাদের নাম সংবাদমাধ্যমে এলেও তার আর ভোটে লড়া হয়নি।

দেশের বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা এবং সফল ব্যবসায়ী আজাদের জন্ম ১৯৫৯ সালে ফরিদপুর জেলায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে ব্যবসায় সম্পৃক্ত হন। পাট, বস্ত্র, চা ও তৈরি পোশাক শিল্প ব্যবসায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে জড়িত।

ডিএন/বিএন/বিএইচ