বরাদ্দ কমেছে বিদ্যুৎ-জ্বালানি এবং দুর্যোগ-ত্রাণ ব্যবস্থাপনা খাতে

নিজস্ব প্রতিবেদক।
২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ কমেছে বিদ্যুৎ-জ্বালানি এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা খাতের।
বিদায়ী অর্থ বছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২৮ হাজার ৫১টি টাকা বরাদ্দ থাকলেও এবার প্রস্তাব করা হয়েছে ২৬ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা।

বিদায়ী অর্থ-বছরের তুলনায় বাজেটের প্রবৃদ্ধি ৮.৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি হলে। বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে ১ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা কম প্রস্তাব করা হয়েছে। এই খাতের বরাদ্দের ক্ষেত্রে ২০১৯-২০ অর্থ বছর থেকেই সুচক নিম্নগামী।

২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিলো ২৪ হাজার ৯’শ ২১ কোটি টাকা। পরের বছর বাজেটের (২০১৯-২০) আকার বেড়েছে ১৮ শতাংশ।আনুপাতিক হারে বাড়াতে হলে সাড়ে ২৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়ার কথা ছিল।

অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ খাতের সমন্বিত উন্নয়নের মাধ্যমে মুজিব শতবর্ষে মানসম্মত নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ৫১০ কিলোওয়ার্ট আওয়ারে উন্নীত হয়েছে।

১৬ হাজার ৫১০ মেগাওয়াট ৪৮টি কেন্দ্র নির্মাণাধীন, ২ হাজার ৭৮৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১২টি কেন্দ্র চুক্তি প্রক্রিয়াধীন, ৬৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৬টি কেন্দ্রের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে আরও ১৯ হাজার ১’শ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।

এরপর, নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ কমেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা খাতে।

এবারের বাজেটে এই খাতে ৯ হাজার ৮৩৬ কোটি টাকার বরাদ্দের প্রস্তাব এসেছে। যা গত বারের তুলনায় কমেছে। গতবারে এ খাতে বাজেট ছিল ৯ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদে ৩টা ১৮ মিনিটে ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’ শিরোনামে বাংলাদেশের ৪৯তম বাজেটে উপস্থাপন করেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার দ্বিতীয় বাজেট।

২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

Print Friendly, PDF & Email