‘গোপনে’ মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে মালিক, পোশাক কারখানার সামনে শ্রমিকদের অবস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক।

রাজধানীর বাড্ডায় বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে মালিক পক্ষ গোপনে পোশাক কারখানার মালামাল সরিয়ে নেয়ার প্রতিবাদে ও বেতন-ভাতার দাবিতে কারখানাটির সামনে অবস্থান নিয়েছে পোশাক শ্রমিকরা।

বৃহস্পতিাবর সন্ধ্যার পর থেকে উত্তর বাড্ডার স্বাধীনতা স্মরণী রোডের টার্গেট সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রির একটি পোশাক কারখার সামনে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তারা অবস্থান করে।

শ্রমিকদের অভিযোগ, করোনার কারণে এতদিন কারাখানাটি বন্ধ ছিল।১৫ তারিখে আমাদের কাজে যোগ দেয়ার কথা। কিন্তু মালিক পক্ষ আমাদেরকে কিছু না বলেই গোপনে কারখানার সব মালামাল সরিয়ে নিয়ে গেছে। আমাদের অনেক বকেয়া বেতন আছে।এসবের জন্য আমরা এখানে এসে দাড়িয়েছি।

এদিকে, রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বাড্ডা থানার এসআই মিলন ফকির এসে পোশাক কারখানার পিএম এনামুলের সঙ্গে কথা বলে ১৫ তারিখের মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধ করে মালামাল বের করবে বলে শ্রমিকদেরকে আশ্বস্ত করেন।

এসআই মিলন ফকির দেশনিউজকে বলেন, মালিক পক্ষের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।বেতন না দিয়ে আর কোনো মাল তারা বের করবে না।এসময় তিনি শ্রমিকদেরকে বাসায় চলে যেতে বলেন।

শ্রমিকদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পিএম এনামুল কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, আমি খুব অসুস্থ।মালামাল নিচ্ছে এটা আমি জানি।

রাত সোয়া ১০ টার দিকে কারখানার মালিক আবুল কাশেমের কাছে জানতে চাইলে তিনি মোবাইলে দেশনিউজকে বলেন, সব মাল বের করিনি। কারখানার ভেতরের মালামালগুলো বিক্রি করে শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ করবো।

কিন্তু শ্রমিকরা বলছেন, কারখানার সব মেশিন ও জেনারেটর বন্ধের মধ্যে বের করে নিয়ে গেছে।এখন ভেতরে যা আছে সবই ভাঙারি। সবগুলোর দাম ৫ হাজার টাকার বেশি হবে না।

শ্রমিকদের এসব অভিযোগের বিষয়ে মালিক আবুল কাশেম বলেন, ভেতরে অনেক মাল আছে। এগুলো বিক্রি করে তাদের টাকা দিবো।

কারখানাটির শ্রমিক শিউলি আক্তার, এনামুল ও কুমিনুল দেশনিউজকে বলেন, আমরা এখানে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি।আমাদের অনেক পাওনা-দাওনা আছে। এসব না দিয়ে তারা কারখানার মালামাল নিয়ে গেছে।

পাশে দাড়িয়ে থাকা আরেক নারী শ্রমিক বলেন, আমাদের জন্য আফনারা কিছু করেন। আামদের এখন চাকরি নাই। কারখানার মালিক আামদের বকেয়া বেতন না দিয়েই বন্ধ করে দিচ্ছে। আমরা এখন খামু কি?

Print Friendly, PDF & Email