দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদকের বিরুদ্ধে শাজাহান খানের মামলা, তদন্তের নির্দেশ

সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের পরিবার নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করার অভিযোগে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনসহ দুজনের বিরুদ্ধে করা মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার বিকেল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ এই আদেশ দেন।

এর আগে আজ সকালে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর বিচারক বাদীর ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারা অনুযায়ী জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন এবং আগামী ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ নির্ধারণ করেন।

মামলার অপর আসামি হলেন কাদেরিয়া পাবলিকেশন্স অ্যান্ড প্রোডাক্টস লিমিটেডের পরিচালক আবদুল কাদের।

মামলার আরজি থেকে জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি শাজাহান খানের একমাত্র মেয়ে ঐশী লন্ডন থেকে ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন। করোনার কারণে তিনি আর যেতে পারেননি। এরপর গত ২৬ জুলাই বিমানে করে ইংল্যান্ড যাওয়ার কথা থাকলে তিনি দুদিন আগে ডিএনসিসি আইসোলেশন সেন্টারে করোনা পরীক্ষা করেন। একদিন পর তাঁর করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে যাচাইয়ের সময় অনলাইনে তাঁর করোনা পজিটিভ দেখা যায়। এরপর শাজাহান খান গত ২৭ জুলাই ঐশী স্বাক্ষরিত চিঠিতে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। পরে সংবাদ সম্মেলন করে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারের পরিচালক ভুলের দায় স্বীকার করেন।

আরজিতে বলা হয়, সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, ‘তাদের ডাটা অপারেটরের ভুলের কারণে ওই সমস্যা তৈরি হয়। যার জন্য শাজাহান খান বা তাঁর মেয়ে মোটেও দায়ী নন।’

এরপর এ এম এম বাহাউদ্দীন গত ২৮ জুলাই তাঁর পত্রিকার সম্পাদকীয়র শিরোনামে লিখেন, ‘শাজাহান খানের মেয়ের করোনা সনদ জালিয়াতি।’ এর নিচে লিখেন, ‘করোনার জাল সনদ দেখিয়ে লন্ডনে যাওয়ার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধরা পড়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের মেয়ে ঐশী খান। করোনা পজিটিভ থাকার পরও নেগেটিভ সনদ নিয়ে লন্ডনে যাচ্ছিলেন। সেখানে তিনি পড়াশোনা করেন। তাঁকে ফ্লাইটে উঠতে দেওয়া হয়নি।’

এ ঘটনায় শাজাহান খানের পরিবারের মানহানি হয়েছে বলে আদালতে মামলাটি করেন শাজাহান খান। এ মামলাতেই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।

Print Friendly, PDF & Email