আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
গাজীপুরে শিশু হত্যা মামলার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
নিউজ ডেস্ক |
গাজীপুরের কোনাবাড়িতে রোববার গভীর রাতে র্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শিশু আলিফ হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি নিহত হয়েছেন।
নিহত জুয়েল আহমেদ সবুজ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার পদিপাড়া এলাকার রফিক উল্লাহর ছেলে।
গাজীপুর র্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুনের ভাষ্যমতে, ‘রাত ২টার দিকে কোনাবাড়ি কাশিমপুর জেলখানা রোড এলাকায় র্যাবের সাথে সবুজের বন্দুকযুদ্ধ হয়। এ সময় সবুজের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় র্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।’
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধারের দাবি করেন তিনি।
এর আগে গত ২৯ এপ্রিল গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি থানার পারিজাত আমতলা এলাকা থেকে অপহরণের পর আলিফকে হত্যা করা হয়। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিজ বাসার তিন তলার একটি গুদাম থেকে আলিফের লাশ উদ্ধার করে র্যাব ও পুলিশ।
আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ২৯ এপ্রিল বিকালে আলিফকে অপহরণ করে সবুজ ও সাগর। অপহরণের পর ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছিল তারা। এক পর্যায়ে শিশুটির বাবা ফরহাদ মুক্তিপণের ২০ লাখ টাকা দিতে রাজি হয়। পরে ওই টাকা দিতে মোবাইলে বিভিন্ন জায়গায় তাকে যেতে বলে অপহরণকারীরা। গত শনিবার সন্ধ্যায় মুক্তিপণের ২০ লাখ টাকা নিয়ে পূবাইল এলাকায় যান তিনি। সেখান থেকে সাগরকে আটক করে র্যাব। পরে তার দেয়া তথ্য মতে, ফরহাদের ভাড়া দেয়া একটি বাড়ির তৃতীয় তলায় ঝুট গুদাম থেকে আলিফের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আটক সাগর জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে জানায়, কয়েকদিন আগে আলিফের বাবা ফরহাদ ভাড়াটিয়া সবুজকে থাপ্পড় মারে। এর প্রতিশোধ নিতে সবুজ অপহরণ করে আলিফকে। পরে তাদের বাড়ির তিন তলায় একটি ঝুট গুদামে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
গাজীপুর র্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার বলেন, ‘সাগরের দেয়া তথ্যমতে সবুজকে ধরতে গেলে বন্দুকযুদ্ধে তার মৃত্যু হয়।’
সূত্র : ইউএনবি