মাসুদ চৌধুরীকে নিয়ে ফেনীতে জাপায় বিভক্তি

ফেনী প্রতিনিধি: ফেনী-৩ (দাগনভূঞা-সোনাগাজী) আসনে দলের প্রার্থী মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর পক্ষ হয়ে কাজ না করার ঘোষণা দিয়েছেন দাগনভূঞা উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতারা। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলা সদরের একটি রেস্টুরেন্টে দলের বর্তমান ও সাবেক নেতাদের এক আলোচনা সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দেশনিউজের কাছে বৈঠক এবং মাসুদ চৌধুরীকে বয়কটের সিদ্ধান্তের কথা স্বীকার করেছেন স্থানীয় জাপা নেতারা।

দলটির দাগনভূঞা পৌর শাখার সহ-সভাপতি সিরাজ উদ্দিন দুলাল দেশনিউজকে জানান, ‘জেনারেল মাসুদ চৌধুরী এরশাদের জাতীয় পার্টিকে শেষ করে দিয়েছেন। এমন লোকদের নিয়ে কমিটি করেছেন যারা কখনো জাতীয় পার্টি করেনি।’

তিনি আরো অভিযোগ করেন, গত পাঁচ বছরে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ ছিল না মাসুদ চৌধুরীর। তিনি জানান, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে লাঙ্গঁল প্রতিকে ফেনী-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য। নির্বাচনে জিতে অনেকটা উধাও হয়ে যান মাসুদ।

জাতীয় পার্টির টিকিটে নির্বাচিত হলেও দলের জন্য কোন কাজ করেননি অভিযোগ করে, সিরাজ উদ্দিন দুলাল বলেন, উল্টো জাপাকে অস্তিত্ব সঙ্কটে ফেলেছেন। ত্যাগি নেতাদের বাদ দিয়ে উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নে অনেকটা পকেট কমিটি ঘোষণা করার অভিযোগ তুলে দীর্ঘদিন দলীয় কার্যক্রম আলাদাভাবে পালন করছে বড় অকেটি অংশ।

দল নয় ক্ষোভ মাসুদ চৌধুরীর প্রতি, এমন মন্তব্য করে ১৪ ডিসেম্বরের সভায় উপিস্থিত একাধিক নেতা বলেন, জাতীয় পার্টির যে কোন কর্মসূচি পালনে তারা ঐক্যবদ্ধ। তবে দ্বাদশ নির্বাচনে মাসুদ চৌধুরীর পক্ষে মাঠে কাজ না করার ব্যাপারে তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। তারা জানান, প্রয়োজনে নিস্কিৃয় থাকাবেন তবুও মাসুদ চৌধুরীর জন্য কাজ করবেন না।

এদিকে, এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাঁচ বছরে সরকারি অনুষ্ঠান ছাড়া দলের কোন কর্মসূচিতে তেমন দেখা যায়নি ফেনী ৩ আসনের এই আলোচিত এমপিকে। এছাড়া বেশ কয়টি অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের পক্ষে বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।

দাগনভুইয়ার জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা আরো অভিযোগ করেন, অনেকটা উন্নয়ন বঞ্চিত দাগনভূঞা উপজেলা। এ দায় মাসুদ চৌধুরীকেই নিতে হবে।

এসব অভিযোগ নিয়ে দেশনিউজ কথা বলে জেনারেল (অব) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর সাথে। তিনি বলেন, ‘ওরা দলের কেউ না, অল্প কয়েকজন মাত্র বৈঠক করেছে, বাকিরা আমার পক্ষে আছে।’ মাসুদ চৌধুরী আরো বলেন, ‘আমি তো অনেক সিনিয়র পারসন, আপনি উপজেলা সভাপতির সঙ্গে কথা বললেই পারতেন।’

Print Friendly, PDF & Email