বাংলাদেশে কোনো আইএস নেই, তবে দু’একজন অনুসারী থাকতে পারেঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Asad kamal-2নিজস্ব প্রতিনিধি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকারী বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরত নিতেই এখানে এসেছি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে বঙ্গবন্ধুর এই খুনিকে দেশে ফেরানোর জন্য এবার চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে জ্যাকসন হাইটসের একটি রেস্তোরাঁর মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের কার্যকরি সভাপতি ও সংসদ সদস্য মাইনুদ্দীন খান বাদল, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ প্রমুখ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোনো আইএস জঙ্গী নেই। তবে দু’একজন আইএস মতাদর্শে বিশ্বাসী বা অনুসারী থাকতে পারে। তবে এই সংগঠনের কোনো সংক্রিয় তৎপরতা বাংলাদেশে নেই।

যুক্তরাষ্ট্র  বলেছে, তোমরা আমাদের কাছে কি চাও। আমি বলেছি আমরা আর কিছুই চাই না। বাংলাদেশ এখন কারো কাছে হাত পাতে না। তারা জঙ্গি নির্মূলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলেছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা বলেছি কারা জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে জড়িত সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকলে তা দিয়ে যেন আমাদের সহায়তা করে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অবস্থিত কয়েকটি বিদেশি দূতাবাস কিছু হলেই ইয়োলো এলার্ট, রেড এলার্ট জারি করে। আমি ভোলার মনমোহন, হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ, লক্ষীপুরসহ বিভিন্ন স্থান সফরে গিয়ে দেখেছি ওইসব দেশের নাগরিকরা কাজ করছে।

তাদের বলেছি তোমাদের দেশের দূতাবাসতো রেড এলার্ট জারি করেছে। চলো তোমাদের নিরাপদে পৌঁছে দেই। তারা হেসে বলেছেন, আমাদের কোন নিরাপত্তা প্রয়োজন নেই। আমরা ভালো আছি।

তিনি বলেন, যে দেশে দাঁড়িয়ে কথা বলছি এই যুক্তরাষ্ট্রেই হত্যা এবং সড়ক দুর্ঘটনা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। দেশ আজ শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলছে। এই উন্নয়নের পথ আর কোনো অপশক্তি রোধ করতে পারবে না।

মন্ত্রী বলেন, জামায়াত নিষিদ্ধ করা একটা আইনি প্রক্রিয়া। এ বিষয়ে আমি এখনই কিছু বলতে চাই না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাঈনুদ্দীন খান বাদল বলেন, ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে না ফিরলে ভারতীয় সৈন্যরা ফিরতো কিনা তা নিয়ে সংশয় ছিল।

তিনি বলেন , কেউ যদি বঙ্গবন্ধুর অবদানকে খাটো করে দেখে সে নেমকহারাম। সরকারের নানা সাফ্যল্যের কথা উল্লেখ করে প্রবীন এই রাজনীতিবিদ বলেন, বিশ্বব্যাংকের ৩০ হাজার কোটি টাকা উপেক্ষা করে পদ্মা সেতু আজ আর ঠাকুর মার ঝুলির গল্প নয়।

তিনি বলেন, তথাকথিত মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ইরাক, সিরিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্তানে আজ আগুন জ্বলছে। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এবং সফল কূটনীতির কারণে বাংলাদেশ আজ শান্তি এবং উন্নয়নের মডেল।

Print Friendly, PDF & Email