জীবিত খোকা পাসপোর্ট না পেলেও কফিন পেল ট্রাভেল ডকুমেন্ট

নিউজ ডেস্ক |

মরণব্যাধি নিয়ে দেশে ফেরার চেষ্টা করেও সরকারের কাছ থেকে পাসপোর্ট ফেরত না পাওয়ায় আক্ষেপ নিয়ে চিরতরে চলে গেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা। তবে মৃত খোকা নিজ মাটিতে ফেরার ট্রাভেল ডকুমেন্ট পেয়েছেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার কফিন বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে দেশে আসবে। সেদিন ৮টা ১০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে খোকার কফিন ঢাকায় পৌঁছাবে। 

সাদেক হোসেন খোকার জ্যেষ্ঠ পুত্র প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন দেশনিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

php glass

তিনি জানান, তার বাবার কফিন ঢাকায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। এরইমধ্যে তার কফিন আনার জন্য এমিরেটস এয়ারওয়েজের ইকে-২০২ ফ্লাইটে টিকিট করা হয়েছে। যেটি মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১১টায় নিউইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দর থেকে রওয়ানা হওয়ার কথা রয়েছে। পরে দুবাই হয়ে ইকে ৫৮২ নম্বর ফ্লাইটে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে।

ksrm

পরিবারের সদস্যরা ওই ফ্লাইটে ঢাকায় আসবেন বলেও জানান তিনি । এ ব্যাপারে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট থেকে প্রয়োজনীয় ট্রাভেল ডকুমেন্ট পাওয়া গেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি

দীর্ঘদিন নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার (৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টার দিকে সেখানকার একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন খোকা। স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন তিনি।

সাদেক হোসেন খোকা ১৯৫২ সালের ১২ মে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং তার দল সরকার গঠন করলে তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করেন। পরে ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার দল সরকার গঠন করলে তিনি মৎস ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করেন।

এরপর তিনি সরাসরি নির্বাচনে জয় লাভের মাধ্যমে ২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল অবিভক্ত ঢাকার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। খোকা ২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করেন।

কিডনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১৪ সালের মে মাসে চিকিৎসার জন্য নিউইয়র্কে যান সাদেক হোসেন খোকা। এরপর থেকে গত সাড়ে পাঁচ বছর ধরে থাকছিলেন নিউইয়র্ক সিটির ইস্ট এলমহার্স্ট এলাকার একটি ভাড়া বাসায়। সার্বক্ষণিক তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ইসমত হোসেন।

Print Friendly, PDF & Email