আ’লীগের চমকহীন কমিটিতে পদোন্নতি পেয়েছেন ৮ নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মাঠে সাত হাজার ৩৩৭ জন কাউন্সিলর সর্বসম্মতভাবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করেছেন।

সেইসঙ্গে ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের ৪২ জন নেতাও সর্বসম্মতভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪০ জনই বিদায়ী কমিটির। নতুন কমিটিতে খুব একটা রদবদল হয়নি। নেই তেমন একটা চমকও।

দু’জন প্রথমবারের মতো কমিটিতে এসেছেন। সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এই প্রথম আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদে এলেন। তাকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য করা হয়েছে। সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকিও প্রথমবারের মতো কার্যনির্বাহী সংসদে এলেন। তাকে মহিলাবিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে।

দু’জন নেতা এবার পদ হারিয়েছেন। তারা হলেন আইন সম্পাদক গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম এবং মহিলা সম্পাদক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিমের পদে এসেছেন অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হীরু। তিনি বিদায়ী কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য। ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার পদে এসেছেন মেহের আফরোজ চুমকি।

পদোন্নতি পেয়েছেন বিদায়ী কমিটির আট নেতা। অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমানকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য করা হয়েছে। ছাত্রলীগের সাবেক এ দুই সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগের বিদায়ী কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। বিদায়ী কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম পদোন্নতি পেয়েছেন। তাদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

ড. হাছান মাহমুদের পদে এসেছেন ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। তাকে দপ্তর সম্পাদক থেকে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক করা হয়েছে। কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হীরু পদোন্নতি পেয়ে আইন সম্পাদক হয়েছেন। উপদপ্তর সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন বিদায়ী কার্যনির্বাহী সংসদের দুই সদস্য এস এম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম।

Print Friendly, PDF & Email