অতীতের সব রেকর্ড ভাঙল এবারের বাজেট ঘাটতি

নিজস্ব প্রতিবেদক।
অতীতের সব ঘাটতিকে ছাপিয়ে গেছে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট। ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা বাজেট ঘাটতি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’ শিরোনামে করোনা থেকে মুক্তি এবং মানুষের জীবনমানে স্বস্তি ফেরাতে অর্থমন্ত্রী ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করছি। এর মধ্যে রাজস্ব আদায় ও বৈদেশিক ঋণসহ বাজেটের আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ১৬ কোটি টাকা। আর ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা।
অর্থাৎ ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা বাজেট ঘাটতি। জিডিপির হিসাবে ৬ শতাংশ ঘাটতি। যা বাংলাদেশের ৪৯তম বাজেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট ঘাটতি। ঘাটতির টাকা ঋণ নেওয়া হবে ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্র থেকে।

এর আগের অর্থবছরের অর্থমন্ত্রী ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকার ঘাটতি বাজেট ঘোষণা করেছিলেন। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৮১৯ কোটি টাকার ঘাটতি বাজেট ঘোষণা করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বিশাল ঘাটতি এই বাজেটের ৬৩ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ ও বৈদেশি ঋণের সুদেই চলে যাবে। কারণ সরকার বিশাল এই ঘাটতি মেটাতে পুরো ঋণের পাশাপাশি নতুন করে ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্র থেকে এবং বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেটে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণের টার্গেট প্রস্তাব করছি। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব র্বোড (এনবিআর) থেকে রাজস্ব আদায় হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর-এনবিআর বহির্ভূত ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর কর ছাড়া অন্যান্য খাত থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতির টাকা ঋণ নেওয়া হবে ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্র থেকে।

করোনায় বিপর্যস্ত দেশের মানুষ ও অর্থনীতির জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার মধ্যে পরিচালনা ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। আর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রস্তাব করা হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।

এর আগের বছর উন্নয়ন খাতের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছিলো ২ লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা। আর পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছিলো ৩ লাখ ১০ হাজার ২৬২ কোটি টাকা।

Print Friendly, PDF & Email