২০২০ সালে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করতে পারেনি বাংলাদেশ: মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক।

বার্ষিক ফিসক্যাল ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বাংলাদেশ অংশে বলা হয়েছে, ফিসকাল ট্রান্সপারেন্সির মানদণ্ড অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০২০ সালে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি করতে পারেনি। বাংলাদেশ সেকশনের প্রথমেই এ বছরের বাজেট প্রসঙ্গ আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট প্রকাশ করেছে এবং এর একটি সংক্ষেপিত রূপ তৈরি করেছে। বাংলাদেশের মানুষ অনলাইনসহ যেকোনো স্থান থেকেই সহজে যাতে এটি দেখতে পারে, তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

তবে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের পর থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট যথাযথভাবে আপডেট করা হচ্ছে না। এতে বাজেট বাস্তবায়নের আসল চিত্র মানুষের কাছে সহজে পৌঁছাতে পারছে না বলেও জানানো হয় ওই রিপোর্টে।
এতে আরো বলা হয়েছে, ঋণ বিষয়ক তথ্যাদি জনগণের কাছে সহজলভ্য রয়েছে।

বাজেটের যেসব নথিপত্র প্রকাশিত রয়েছে, তাতে সরকারের আয় ও ব্যয়ের সকল পরিকল্পনার কথা স্পষ্ট আকারে তুলে ধরা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে সম্ভাব্য আয়ের কথাও।

বাজেটে কোন খাতে কি বরাদ্দ দেয়া হবে এবং রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কোম্পানি থেকে কি পরিমাণ অর্থ আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তার সবই বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে।

রাষ্ট্রের অধীন কোম্পানিগুলো নিয়মিতভাবে তাদের আর্থিক নথিপত্র প্রকাশ করছে না বলেও জানানো হয়েছে রিপোর্টে। বাজেট সম্পর্কে যথাযথ তথ্য প্রকাশিত রয়েছে, তবে এটি আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়নি।
বাংলাদেশের প্রধান পর্যবেক্ষণ সংস্থা সরকারি একাউন্টগুলো পর্যালোচনা করে দেখে। তবে এর প্রতিবেদন যথাযথ সময়ের মধ্যে জনগণের কাছে প্রকাশিত হয়না বলে দাবি করা হয় মার্কিন রিপোর্টে।

বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার আইন ও নিয়মকানুন মেনে কাজ করছে। তবে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য মানুষের কাছে সহজলভ্য নয়। বাংলাদেশের ফিসকাল ট্রান্সপারেন্সি উন্নত করার কিছু ক্ষেত্র তুলে ধরা হয়েছে ওই রিপোর্টে। এর মধ্যে রয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক হিসেব-নিকেশ যথাযথভাবে প্রকাশ করা, বাজেটের বাইরের হিসেব উন্মুক্ত করা, আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী বাজেট তৈরি করা এবং প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে জনগণের কাছে তথ্য সহজলভ্য করা।

ডিএন/জেএএ

Print Friendly, PDF & Email