বিপদসীমার ওপরে ১৯ নদ-নদীর পানি

নিউজ ডেস্ক।

ভারী বর্ষণের কারণে দেশের বন্যা প্রবণ ১৯টি নদ-নদীর পানি বিভিন্ন স্থানে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

বৃহস্পতিবারের (২৩ জুলাই) মধ্যে তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে এবং বালু নদীর ডেমরা পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, যেসব নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সেগুলা হলো- কুড়িগ্রামে ধরলার পানি, গাইবান্ধায় ঘাঘট, চকরহিমপুরে করতোয়া, নুনখাওয়া ও চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র, ফুলছড়িত, বাহাদুরাবাদ, সারিয়াকান্দি, কাজীপুর, সিরাজগঞ্জ ও আরিচায় যমুনা, গুড় নদীর পানি সিংড়ায়, আত্রাইয়ের পানি আত্রাই ও বাঘাবাড়িতে এবং ধলেশ্বরীর পানি এলাসিন ও জাগিরে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে যা শুক্রবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। অপরদিকে যমুনা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে যা বৃহস্পতিবার নাগাদ বৃদ্ধি পেতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, যা শুক্রবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

আবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঢাকা জেলার আশপাশে নদীসমূহের পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

এ অবস্থায় আজ বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, নাটোর, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ি, শরীয়তপুর ও ঢাকা জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। অপরদিকে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, সিলেট, সুনামগঞ্জ এবং নেত্রকোনা জেলার বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে। এছাড়া লাক্ষ্যার পানি নারায়ণগঞ্জে, কালিগঙ্গার পানি তারাঘাটে, পদ্মার পানি গোয়ালন্দ, ভাগ্যকুল, মাওয়া ও সুরেশরে, সুরমার পানি কানাইঘাট, সুনামগঞ্জ ও সিলেটে, পুরাতন সুরমার পানি দিরাইয়ে, যদুকাটার পানি লরেরগড়ে, তিতাসের পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, সোমেশ্বরীর পানি কলমাকান্দায় এবং মেঘনার পানি চাঁদপুরে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ডিএন/এফএন/জেএএ/১০:৩০এএম/২৩৭২০২০৭

Print Friendly, PDF & Email