পদ্মাসেতুর ছবি-ভিডিও প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পদ্মাসেতুর ছবি, ভিডিও ও তথ্যাদি প্রকাশে প্রকৌশলীদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম।

গতকাল শনিবার সকালে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সেতু প্রকল্পের প্রকৌশলীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দিয়ে বলেছে যে, তারা যেন বহুল-প্রত্যাশিত সেতুর নির্মাণ কাজের কোনো তথ্য, ছবি বা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার না করেন।

আরও বলা হয়েছে, ‘কোনো বিপজ্জনক ঘটনা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ সেতু সংক্রান্ত কোনো আলোচনা ও ভাবনা-চিন্তা ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটঅ্যাপ ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া যাবে না।

তবে এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সহকর্মী ও অধস্তনরা ইমেইল, এসএমএস বা লিখিতভাবে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।

এ বিষয়ে পদ্মাসেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, প্রকল্পে ২৫০ জন প্রকৌশলী, কন্ট্রাকটারসহ প্রায় এক হাজার জন কাজ করেন। সবাই যার যা খুশি শেয়ার দেবে? যেকোনো একজন কিংবা দুইজন দেবে। তবে এক হাজার প্রকৌশলী তাদের আইডি থেকে শেয়ার দেবে এটা তো গ্রহণযোগ্য নয়।

সেতু প্রকল্পের ছবি বা ভিডিও শেয়ার করায় কোনো সমস্যা হয়েছে কি না?— ‘হ্যাঁ, এর ফলে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে,’ যোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই প্রকল্প সম্পর্কে সত্য-মিথ্যা তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা ইউটিউবে ভিডিও পোস্ট করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুধু আমাদের কর্মকর্তাদের বলেছি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (সেতু সংক্রান্ত) কোনো ছবি বা তথ্য শেয়ার না করতে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রকৌশলী জানান, পদ্মাসেতুর কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ভাঙনের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই সেতু প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মৌখিকভাবে নানা নির্দেশনা দিয়ে আসছিলেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রকল্প কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পদ্মাসেতুর কোনো তথ্য বা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার না করা সংক্রান্ত একটি চিঠি পেয়েছি। আমি মনে করি, প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সবাই এই চিঠি পেয়েছেন।’

প্রসঙ্গত, দেশের দক্ষিণপশ্চিম অঞ্চলের সঙ্গে সড়ক ও রেল যোগাযোগ সৃষ্টিতে পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের নভেম্বরে। এখন পর্যন্ত নির্মাণ কাজের ঘোষিত সময়সীমা ২০২১ সালের জুন।

করোনা মহামারির কারণে বর্তমান সময়সীমাও বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। গত জুন পর্যন্ত সেতু প্রকল্পের প্রায় ৮০ শতাংশ কাজের অগ্রগতি হয়েছে বলেও তারা জানান।

কাজের সময়সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি সেতু নির্মাণের খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।

ডিএন/বিএন/জেএএ/৫:২৪পিএম/২৩৮২০২০২৫

Print Friendly, PDF & Email