ইমামবাড়া চত্বরে সীমিত আকারে আশুরা পালন

নিজস্ব প্রতিবেদক।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে জৌলুশ হারিয়েছে রাষ্ট্রীয় থেকে থেকে শুরু করে অনেক সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় আয়োজন। এর ব্যতিক্রম হয়নি এবারের আশুরার শোক শোভাযাত্রা তাজিয়া মিছিলের ক্ষেত্রেও।

করোনার কারণে রবিবার পুরান ঢাকার হোসেনী দালান ইমামবাড়া চত্বরেই সীমিত আকারে আয়োজিত হয় মহররমের তাজিয়া মিছিলের।

মিছিলসহ অন্যান্য আয়োজন সীমাবদ্ধ ছিল ইমামবাড়া চত্বরেই। অন্যান্যবারের মতো সড়কে তাজিয়া মিছিল বের করার সুযোগ হয়নি এ বছর।

অবশ্য আয়োজন সীমিত পরিসরে হলেও পবিত্র আশুরার এই আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দেন রাজধানীর শিয়া সম্প্রদায়ের বহু মানুষ।

শনিবার সন্ধ্যা থেকেই ছোট ছোট মিছিল নিয়ে হোসেনী দালান ইমামবাড়ায় জড়ো হন শিয়া সম্প্রদায়ের অনুসারীরা। রাত দেড়টায় ইমামবাড়া চত্বরে বের করা হয় তাজিয়া মিছিল। রবিবার দুপুর নাগাদ চত্বরে ছিল ব্যাপক জনসমাগম।

আশুরা হিসেবে পরিচিত ১০ মহররম কারবালা প্রান্তরের শোকাবহ ঘটনা স্মরণে মাতম করেন অংশগ্রহণকারীরা। অন্যবারের তুলনা করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা কম ছিল।

এদিকে আশুরা ঘিরে হোসেনী দালানসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ। কারণ, এর আগে ২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর প্রথম প্রহরে তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলার ঘটনায় দুজন নিহত ও অর্ধশত হন।

উল্লেখ্য হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেইন (রা.) এবং তার পরিবার ও অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সংগ্রাম করতে গিয়ে ইরাকের ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে শহীদ হন।

এ ঘটনা স্মরণ করে বিশ্ব মুসলিম যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করে থাকে। শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শ সমুন্নত রাখতে তাদের এই আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে রয়েছে।

কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা ও পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী সবাইকে অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে প্রেরণা জোগায়।

ডিএন/আরএন/জেএএ/১:১০পিএম/৩০৮২০২০১৩

Print Friendly, PDF & Email