প্রশাসনের ছত্রচ্ছায়ায় ভোটকেন্দ্র দখল ও কারচুপির মহোৎসব, ১৫৭ টি পৌরসভায় পুনরায় নির্বাচনের দাবি : বিএনপি

BNP-logoনিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচনে কৃত্রিম বিজয় দেখানোর জন্য আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর পাহারায় এবং প্রশাসনের ছত্রচ্ছায়ায় ভোট কেন্দ্র দখল ও কারচুপির মহা উৎসবে নামার অভিযোগ করেছে বিএনপি। বুধবার দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন। ১৫৭ টি পৌরসভায় পুনরায় নির্বাচনের দাবি বিএনপির। এর আগে সকাল সাড়ে নয়টায় আরেক দফা ব্রিফিং করে বিভিন্ন পৌরসভায় কেন্দ্র দখলসহ ভোট কারচুপির নানা অভিযোগ করে বিএনপি।

রিজভী বলেন, সাতকানিয়া পৌরসভায় সাতকানিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ছাত্রলীগ ক্যাডারদের বেপরোয়া গুলিতে যুবদল নেতা নুরুল আমিনকে হত্যা করা হয়েছে। ব্যাপক গুলিবর্ষণ ও বোমাবাজি করে বাকি কেন্দ্রগুলো দখল করে নিচ্ছে। সেখানে র‍্যাব পুলিশের সদস্যরা মূর্তির মতো ঠায় দাঁড়িয়ে আছেন।
রিজভী বলেন, নির্বাচনের প্রকৃত সত্য যাতে ফুটে না ওঠে, এ জন্য এটিএন নিউজের সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবিলম্বে তঁদের মুক্তি দেওয়া হোক।
এরপর মিরসরাইয়ের সব কটি কেন্দ্র, রাঙ্গুনিয়ার সাতটি কেন্দ্র, গোপালগঞ্জ সদর পৌরসভা ও মোরেলগঞ্জের অধিকাংশ কেন্দ্রে এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। বগুড়া সদর পৌরসভা, কুমিল্লা লাকসাম, ফরিদপুরের নগরকান্দা, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, নরসিংদীর সদর, পাবনার ঈশ্বরদী ও সাথিয়া, জামালপুরের ইসলামপুর, নোয়াখালির চৌমুহনী, নাটোর সদর, ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আখাউড়া, লক্ষীপুরের রামগঞ্জ, ভোলার বোরহানউদ্দীন ও দৌলতখান, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু ও শৈলকুপা, মৌলভীবাজার সদর, ঢাকার সাভার ও ধামরাই, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভার বেশ কিছু ভোটকেন্দ্রে ধানের শিষের এজেন্টদের মারধর করে বের করে একতরফা নৌকায় ছিল মারার অভিযোগ করেন।
এর মধ্যে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বিএনপির প্রধান এজেন্ট আলমগীরকে গুলি করে মারাত্মকভাবে আহত করার অভিযোগ করেন রিজভী। মৌলভীবাজার সদরে বিএনপি নেতা আবদুর রহিমকেও গুরুতর আহত করার অভিযোগ করেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email