ছাত্রলীগের কমিটিতে আরো ৫০ জন মেয়েকে আনা যেত না, প্রশ্ন লিপির

৩০১ সদস্য কমিটির মধ্যে নারী নেত্রী কতজন রাখা হয়েছে? যতটুকু জানি ৭% মেয়েদের কমিটিতে রাখা হয়েছে। সারা বাংলাদেশে কি ৭% মেয়ে (ছাত্রী) রাজনীতি করে? যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেয়েদের এগিয়ে দেওয়ার পক্ষে, তাহলে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্য কমিটিতে মেয়েদের কি অপমান করা হয়নি? ৬১ জন সহ-সভাপতি এর মধ্যে ৪ জন মেয়ে রাখা হয়েছে, ১১ জন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে ১ জন মেয়ে, ১১ জন সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে ১ জন মেয়ের স্থান হয়েছে, এটা কি আমাদের মেয়েদের সামনে যাওয়ার জন্য প্রতিবন্ধকতা না? বাংলাদেশের যতগুলো সাংগঠনিক ইউনিট এবং ইন্সটিটিউট আছে সেখান থেকে কি আরো ৫০ জন মেয়েকে কমিটিতে আনা যেত না? ঢাকার বাইরে থেকে মেয়েরা এসে অনেক কষ্ট করে রাজনীতি করে, বিভিন্ন কর্মসূচিতে তারা খুব আগ্রহ নিয়ে ঢাকা চলে আসে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রত্যেকটি ছাত্রনেতার এমন হওয়া উচিত ছিল যারা সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন সাংগঠনিক ইউনিটে ইতিমধ্যে নেতৃত্ব দিয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশে অনেকগুলো উল্লেখযোগ্য পাবলিক প্রতিষ্ঠান (বিশ্ববিদ্যালয়) যেমন জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি, জাহাঙ্গীর নগর ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটি, রাজশাহী ইউনিভার্সিটিসহ বাংলাদেশের সমস্ত পাবলিক ও প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি এবং ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা কলেজসহ সাত কলেজ; বাকি কলেজগুলো এবং পাবলিক ও প্রাইভেট মেডিকেল কলেজগুলো থেকে নেওয়া যেত না?

সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা হলে একসাথে ২ টা জিনিস হয়ে যেত একটি হলো; আওয়ামী লীগের অনুর্বর জেলাগুলো থেকে আনা হত, এই রকম জেলা থেকে কয়জন আনা হয়েছে? এবং প্রত্যেকটি সাংগঠনিক ইউনিট মূল্যায়ন হত এবং তারা আরো বেশি সাংগঠনিক হওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতো।

লেখক: সভাপতি-বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রোকেয়া হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

Print Friendly, PDF & Email