নাটোরে জন আকাঙ্ক্ষার মত বিনিময়

তারুণ্যের জাগরণই একমাত্র আশার আলো

দেশ নিয়ে সবাই যখন হতাশ, রাজনীতি নিয়ে জাতি যখন বিভক্ত, তখন ছাত্রদের শ্লোগান ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ সবাইকে উজ্জীবিত করেছে। তরুণরা অনিয়ম ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলেছে তারা রাষ্ট্র মেরামতের কাজ করতে চায়। বিভেদ, দূর্নীতির এই অন্ধকার সময়ে তারুণ্যের জাগরণই একমাত্র আশার আলো-
শুক্রবার জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ নাটোর জেলা আয়োজিত “অধিকার ভিত্তিক রাজনীতি: কল্যানমূলক রাষ্ট্র গঠনের মূলনীতি” শীর্ষক মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে উপরোক্ত কথা বলেন উদ্যোগের সমন্বয়ক মজিবুর রহমান মন্জু।
নাটোর বার এসোসিয়েশনের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোস্তফা বিন মালেক, শ্রমিক নেতা শাহ আব্দুর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা সাজ্জাদ হোসেন, যুবনেতা আনোয়ার সাদাৎ টুটুল, আনিসুর রহমান খান, সিদ্দিকুল ইসলাম ফরিদ, আব্দুর রশিদ, মোহাম্মদ আলী, জসিম উদ্দিন প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ইসহাক আলী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মজিবুর রহমান মন্জু বলেন- ৪৭ সালের আগে আমাদের উপর জুলুম শোষন চালানো হয়েছে কারণ তখন আমাদের কে হেয় প্রতিপন্ন করা হতো আমরা মুসলিম বলে। তাই ৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হয়েছিল ধর্মের ভিত্তিতে। কিন্তু ৪৭ এর পর আমাদের উপর চরম নির্যাতন চালানো হয়েছে কারণ আমরা হলাম বাঙ্গালী। ৭১ সালে অপরিসীম ত্যাগ, রক্ত আর জীবনের বিনিময়ে আমরা চুড়ান্ত স্বাধীনতা অর্জন করেছি শুধু এইজন্য যে কেউ আর আমাদের মুসলিম বা বাঙ্গালী বলে মারতে পারবেনা। আমাদের অধিকার কেড়ে নিতে পারবেনা। কিন্তু আজ কে আমাদের মারছে? কেন মারছে? সাগর-রুনির সন্তানের কাছে এ দেশ বা স্বাধীনতার কী দাম আছে? বিশ্বজিত, আবরার বা নুসরাতের বাবা মা কোন স্বাধীনতার জন্য জীবন বিলিয়ে দিল? তিনি বলেন- সব মত আর মতবাদের বিভেদ ভুলে অধিকারের ভিত্তিতে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অধিকারের রাজনীতির মাধ্যমেই কল্যানমূলক রাষ্ট্র নিশ্চিত করতে হবে। মুক্ত আলোচনায় নাটোরে কর্মরত গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়।
সভাপতির বক্তব্যে এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং অধিকার ভিত্তিক রাজনীতিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

-প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

Print Friendly, PDF & Email