প্রোটিয়া বধের উচ্ছ্বাস সারা দেশে

স্পোর্টস ডেস্কঃ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দুটি স্মরণীয় জয়ের জন্ম ২০০৭ সালে। একটি ভারতের বিপক্ষে, যেটা শচীন-সৌরভ-দ্রাবিড়দের ছিটকে দিয়েছিল টুর্নামেন্ট থেকে। অন্যটি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ঠিক এক যুগ পর বিশ্বকাপে প্রোটিয়া বধের উচ্ছ্বাস সারা দেশে। সামনেই ঈদ। ওভালে ২১ রানের জয় যেন অগ্রিম ঈদ উপহার মাশরাফির দলের!

২০০৭ সালের ৭ এপ্রিল গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে বেশ কয়েকজনের অবদানে এসেছিল দুর্দান্ত জয়। তাদের মধ্যে অগ্রগণ্য মোহাম্মদ আশরাফুল। টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ানের ব্যাট সেদিন ঝলসে উঠেছিল। পোলক-এনটিনি-ক্যালিসদের তোপের মুখে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে ৮৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছিলেন আশরাফুল। সঙ্গে তামিম ইকবাল (৩৮), আফতাব আহমেদ (৩৫) আর মাশরাফি মুর্তজার (২৫) অবদানে ৮ উইকেটে ২৫১ রান করেছিল বাংলাদেশ।

সেবার দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ ছিল দারুণ শক্তিশালী। গ্রায়েম স্মিথ, হার্শেল গিবস, জ্যাক ক্যালিস, এবি ডি ভিলিয়ার্স, মার্ক বাউচারদের দলকে ধরা হচ্ছিল টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট। কিন্তু অদম্য টাইগারদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি প্রোটিয়ারা। তিন বাঁহাতি রাজ্জাক (৩/২৫) ও সাকিবের (২/৪৯) স্পিনের সঙ্গে সৈয়দ রাসেলের (২/৪১) পেসে দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হয়ে যায় ১৮৪ রানে, ৬৭ রানে জয়ের উল্লাসে মেতে ওঠে বাংলাদেশ।

এক ‍যুগ পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ অনেক পরিণত দল। তখন ‘ছোট দল’ বলে ক্রিকেট বিশ্বের কেউ কেউ অবজ্ঞা করলেও আজ তাদের কণ্ঠেই সমীহ। সেই সমীহ জাগানো শক্তি ২০১৯ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই সাফল্যে উজ্জ্বল। সৌম্য-সাকিব-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর গড়ে দেওয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে দারুণ বোলিং-ফিল্ডিংয়ে প্রোটিয়াদের হারিয়ে দিয়েছে মাশরাফির দল। চার বছর আগে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের পথে একটি ম্যাচে ৩২৯ রান করে ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোর গড়েছিল বাংলাদেশ। আজ তার চেয়ে একটি রান বেশি করে রেকর্ডটা ভেঙে দিলো টাইগাররা। শুধু রেকর্ডই নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে তুলে নিলো দুর্দান্ত জয়

Print Friendly, PDF & Email