হেরে গিয়ে মেজাজ হারলো ভারতীয় দল

স্পোর্টস ডেস্ক ♥
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের জয়টা অনেক বেশী কাম্য ছিলো। টসে জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলী যখন বোলিং নিলেন অনেক বিশেষজ্ঞই তখন ভ্রু কুঁচকেছেন। এতোবড় টুর্নামেন্টে টসে জিতে ফিল্ডিং! ভারত অধিনায়ক আত্মবিশ্বাসের সাথেই বললেন, ম্যাচটা আমরাই জিতছি, নো চান্স! বাংলাদেশের কুল ক্যাপ্টেন আকবর আলী বললেন, গতরাতে বৃষ্টি হয়েছে। তাই উইকেটে কিছু একটা আছে বলে তার মনে হয়েছে এবং সে সুযোগটাই তিনি নিতে চান। অধিনায়ক যে সঠিক ছিলেন তার প্রমাণ বোলিংয়ের পুরো সময়টা বাংলাদেশ দিয়েছে।

কিন্তু শুধু উইকেটের কৃতিত্ব দিলে পাকিস্তানের ভয়াবহ বোলিংকে ছত্রখান করে দেয়া ভারতীয় গভীর ব্যাটিং লাইনকে ধসিয়ে দেয়া বোলিংকে খাটো করা হয়। অমন ফিল্ডিং, ক্যাচিংকে খাটো করা হয়। শেষ দিকে টপাটপ ভারতের উইকেট যখন পড়ছিলো তখন বাংলাদেশের বোলার ও ফিল্ডারদের বুনো সেলিব্রেশন বলে দিচ্ছিল আজ তারা অনেক হিসেবের জবাব দিতে চায়। পুরো ম্যাচে ভারত একবারই ম্যাচে ফিরেছিল, সেটা বাংলাদেশের মিডিল অর্ডার যখন ধসে পড়েছিল। কিন্তু ওই যে ক্যাপ্টেন কুল বাংলাদেশের আকবর দ্যা গ্রেট- আন্ডার নাইনটিন এজে এতো ঠান্ডা মাথা, পরিণিত বিবেচনা বোধ, ধৈর্যশীল নেতৃত্ব পূর্বে দেখিনি। ভারতীয় দল পরাজয়ের গন্ধ টের পেয়ে চানক্য নীতিতে বাংলাদেশে ব্যাটসম্যানদের ধৈর্য ও মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে অপ্রয়োজনীয় আপিল এবং চিল্লাচিল্লি শুরু করলো। কিছুটা সফল হলেও ক্যাপ্টেন কুলের তাতে কিছু যায় আসে নি। অনেকটা টেস্ট মেজাজে বাংলাদেশের ধীরে ধীরে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ত্যাগ করেছে।

বিজয় উদযাপনে যখন সহযোদ্ধারা বাঁধভাঙা উল্লাসে ফেটে পড়েছে, আকবর আলী তখনও পরিমিতিবোধের প্রতীক হয়ে থাকলেন। হেরে গিয়ে মেজাজ হারালো ভারতীয় দল। দাদাগিরিতে অভ্যস্ত ভারতীয় দল স্বরূপে আবিভূত হয়ে বাংলাদেশ টিমের সদস্যদের মারতে আসে। পতাকা কেড়ে নেয়। সম্প্রচার টিমে নিশ্চয়ই কোনো ভারতীয় ছিলো, তাই ক্যামেরা দর্শকদের দিকে ঘুরিয়ে বিশ্বের কাছে ভারতীয়দের মর্যাদা রক্ষা করলেন।

তবে দর্শকরা জবাব দিতে ভুল করেনি গ্যালারি জুড়ে ‘ভুয়া, ভুয়া’ শ্লোগান তুলে ভারতীয় ক্রিকেটারদের জবাব দিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার স্টেডিয়ামকে কখনো মনে হয়েছে মিরপুরের হোম অভ ক্রিকেট কখনো বাংলাদেশের রক্তাত্ব সীমান্ত। বাঁধভাঙা আনন্দে জবাব দিতে চাইলো অনেক কিছুরই।

Print Friendly, PDF & Email