আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
দলের কারো কাছেই পাত্তা পাচ্ছেন না বার্সা কোচ
দেশনিউজ ডেস্ক।
সেভিয়ার পর সেল্টা ভিগো, টানা দুই অ্যাওয়ে ম্যাচে ড্র করে লা লিগা শিরোপাটা যেন একপ্রকার নিজ হাতেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে তুলে দিয়েছে বার্সেলোনা। প্রতিপক্ষের মাঠে কেন এমন পারফরম্যান্স? জিজ্ঞেস করতেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছেন সেল্টা ম্যাচে জোড়া গোল পাওয়া লুইস সুয়ারেজ, আঙুল তুলে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ কিকে সেতিয়েনকে।
শুধু সুয়ারেজই নন, বার্সা স্কোয়াডে সবাই পারফরম্যান্সের সমস্ত দোষ যেন তুলে দিচ্ছেন কোচের কাঁধেই!
রোববার রাতে এস্পানিওল ম্যাচে জয় তুলে বার্সার চেয়ে দুই পয়েন্টে এগিয়ে গেছে রিয়াল। অথচ তিনমাস বিরতির আগে বার্সাই রিয়ালের চেয়ে দুপয়েন্টে এগিয়ে ছিল। এই তিনমাসে পৃথিবীর অনেককিছু পাল্টে গেলেও পাল্টায়নি অ্যাওয়ে ম্যাচে বার্সার যাচ্ছেতাই ফল। যার কারণে জিদানের দলের কাছে লা লিগাটা হারাতে পারে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্সের সমস্ত দায়ই এখন বর্তাতে পারে সেতিয়েনের ঘাড়ে।
করোনা থাবা দেয়ার আগে গুজব ছিল বার্সার সিনিয়র খেলোয়াড়রা সেতিয়েনের কথার ধার ধারেন না। এমনকি অনেকে ঠিকমতো অনুশীলনও করেন না এই ভেবে যে, সেতিয়েনের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলা মানে সময়ের অপচয়!
অধিনায়ক লিওনেল মেসির সঙ্গে কোচের হাল্কা হলেও যে চাপা টানপোড়েন চলছে, সেটা করোনা বিরতির সময়েই দেখা গেছে। মেসি বলেছেন দল যেভাবে খেলছে তাতে কোনভাবেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা হবে না বার্সার। উল্টোপিঠে সেতিয়েন বলেছেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের ভীষণ সম্ভাবনা আছে দলের। অধিনায়ক আর কোচের মধ্যে মতবিরোধ স্পষ্ট।
শুধু মেসিই নন, দলের অন্যদেরও মতবিরোধ আছে কোচের সঙ্গে, সেটাও পরিষ্কার সেল্টা ম্যাচের সময়ই। কুলিং ব্রেকে খেলার কৌশল বুঝিয়ে দেয়ার কাজটা করেছেন সহকারী কোচ এডের সারাবিয়া। সেতিয়েন এসময় পাশেই ছিলেন, কিন্তু কেউ তাকে পাত্তা দেননি কিংবা নিজ থেকে কারো সঙ্গে কথাও বলেননি কোচ।
ম্যাচের পর সুয়ারেজের কথা যেন আরও বেশি চোখে লেগেছে। অ্যাওয়ে ম্যাচে দলের এমন বেহাল অবস্থার জন্য সেতিয়েন ও তার স্টাফদেরই সরাসরি দোষ দিয়েছেন উরুগুয়ে ফরোয়ার্ড, ‘এসব ব্যাপারে আপনারা কোচকে জিজ্ঞেস করবেন। প্রতিপক্ষকে বিশ্লেষণ করা তাদের কাজ।’
পরিস্থিতি আরও ঘোলা হচ্ছে আর্থার মেলোর জুভেন্টাসে চলে যাওয়ায়। ন্যু ক্যাম্পে মেসির খুব কাছের খেলোয়াড় ছিলেন ২৩ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার। আর্থার ন্যু ক্যাম্প ছাড়ার দায়টা পড়ছে সেতিয়েনের কাঁধেই। তিনি যে আর্থারকে পছন্দ করতেন না সেটা প্রায় সবারই জানা। যে কারণে ব্রাজিলিয়ানের ফর্মটাও পড়তির দিকে। অবশ্য আগের কোচ আর্নেস্টো ভালভার্দের সঙ্গেও খুব একটা সম্পর্ক ভালো ছিল না আর্থারের।
যাইহোক, ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস ফেরাতে হলে কেবল একটি পথই খোলা আছে সেতিয়েনের, সেটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়। একমাত্র এই উপায়েই বার্সার চাকরিটা বাঁচাতে পারেন প্রবীণ এ কোচ। খেলোয়াড়রা যেভাবে উঠেপড়ে লেগেছেন, তাতে আগে লা লিগাই বাঁচানো এখন সেতিয়েনের মুখ্য লক্ষ্য হওয়ার কথা।
ডিএন/জিএন/জেএএ