পুলিশ নিজেদের ‘ওয়েস্টার্ন ছবির হিরো’ ভাবছেন: সোহেল

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশের কর্মকর্তারা এখন নিজেদের ‘ওয়েস্টার্ন ছবির হিরো’ ভাবছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।

কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে আজ শনিবার দুপুরে নয়া এক স্মরণ সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

বিএনপির মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সোহেল বলেন, ‘দেশের অবস্থা আপনারা কী দেখেছেন, নির্বাচনের আগের রাতে ফিল্মি কায়দায় যে পুলিশ বাহিনী এই অবৈধ সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল, নির্বাচনের পর সেই পুলিশ বাহিনীর অফিসাররা এখন নিজেদের ‍‍‍‍‍‌ওয়েস্টার্ন ছবির হিরো ভাবছেন।’

হাবিন উন নবী খান সোহেল বলেন, ‘টেকনাফ-কক্সবাজারের যে ঘটনাটি ঘটেছে তার বিচার যেন হয়। ’

এই বিচার নিয়ে কোনো টালবাহানা, গড়িমসি সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির এই নেতা।

তিনি বলেন, ‘কিছুসংখ্যক পুলিশ অফিসার আছেন যাদের নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিদিন সকাল বেলা যেমন-গায়ে উনাদেরই ইউনিফর্ম পড়েন, মাথায় ক্যাপ, পায়ে বুট পড়েন-এটা তাদের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই আসার সময়ে প্যান্টের পকেটে কিছু লাল রঙের বড়ি নেন এবং সারাদিন তার কাজ একটাই -এই বড়ি কার পকেটে ঢুকিয়ে দিয়ে কিছু পয়সা আদায় করা যাবে, কাকে ফাঁসানো যাবে। এই অবস্থার একটি বিহিত হওয়া দরকার।’

‘সিনহা হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ কেউ সরকার হঁটানোর দিবা স্বপ্ন দেখছে’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘উনি কাদের মিন করেছেন আমরা জানি না। তবে আমরা খালি চোখে যা দেখছি- দেশে কি আদৌ কোনো সরকার আছে। একজন মানুষ উনি চেয়ারে বসে আছেন জোর করে। আর কিছু চেয়ার রেখেছেন, কিছু মন্ত্রী এসব আইওয়াশ।’

তিনি বলেন, ‘উনি নিজেই প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, মাঝে মধ্যে নিজে বাজেট ঘোষণা করেন, উনি নিজেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, উনি নিজেই সব কিছু। আর কারও কিছু কাজ আছে বলে মনে হয় না। কিছু মন্ত্রী আছেন যারা ক্লাউনের মতো মাঝে-মধ্যে কিছু বিনোদন দেওয়া ছাড়া আর কিছু কাজ নেই। সুতরাং যে সরকারই আদৌ নেই, তাকে আর হটানোর আলাদা কি চেষ্টার প্রয়োজন আছে?’

তিনি বলেন, ‘যিনি ক্ষমতায় বসে আছেন ওই চেয়ারটায়, তার পেছনে সুতা আছে। এই সুতার মাথা দেশে নাই, অন্য দেশে আছে। সুতাগুলো কেটে দিয়ে ওই চেয়ারটায় একটা জোরে ধাক্কা দিলে কি হবে? ‘দড়ি ধরে মারো টান, রাজা বা রাণি হবে খান খান’। সময় খুব কাছে চলে এসেছে বেশি দিন আর নেই, অপেক্ষা করেন।’

স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য দেন-বিএনপির যুগ্মমহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোফিজুর রহমান, গোলাম সারোয়ার, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাদরেজ জামান, রফিক হাওলাদার, ছাত্রদলের ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।

ডিএন/পিএন/জেএএ/৫:২৪পিএম/৮৮২০২০১৯

Print Friendly, PDF & Email