• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

একসপ্তাহ ধরে অচল ৩৭ বিশ্ববিদ্যালয়ঃ শিক্ষকদের ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী

01নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বেতন ও পদ মর্যাদার বৈষম্য দূর করার দাবিতে আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেতাদের ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় গণভবনে তাদের এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে বলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যরা ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতারাও বৈঠকে অংশ নেবেন। দাবি পূরণে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। রোববার ছিল কর্মবিরতির সপ্তম দিন।
বেতন কাঠামোর বিষয়ে সুনির্দিষ্টি দু’টি লিখিত প্রস্তাব রোববার (১৭ জানুয়ারি) শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইনের কাছে দিয়েছেন ফেডারেশনের নেতারা।

বিকেলে সচিবালয়ে শিক্ষাসচিবের কাছে লিখিত প্রস্তাবনা জমা দেন ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল।

ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, সপ্তম বেতন কাঠামোতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গ্রেড-১ থেকে গ্রেড-৩ এ উন্নীত হওয়াসহ যে সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসতেন তা বহাল রাখার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া গ্রেড-১ থেকে কিছু সংখ্যক শিক্ষককে সিনিয়র সচিবের পদমর্যাদা প্রদানের জন্যও প্রস্তাব করা হয়।

শিক্ষাসচিবের সঙ্গে আলোচনায় তরুণ শিক্ষকদের উচ্চতর শিক্ষার জন্য বৃত্তি চালু ও গবেষণার ব্যবস্থা করার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে বলেও জানান মাকসুদ কামাল।

শিক্ষকরা বলছেন, অষ্টম বেতন কাঠামোতে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল করায় শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেলে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি অধ্যাপকদের পদ ‘অবনমন’ হয়েছে।

মর্যাদা ও বেতন প্রশ্নে বিভিন্ন পর্যায়ে আন্দোলনের পর গত ১১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করে আসছেন দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। ক্লাস না হওয়ায় শিক্ষাজীবনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি নিশ্চিত করে অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, তার সঙ্গে আলোচনা হলেই সমস্যা মিটে যাবে।
দাবি পূরণ হলে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনও ক্লাস নেওয়া হবে বলে জানান মাকসুদ কামাল।

Print Friendly, PDF & Email