ভিপি নূরসহ অনুসারীদের ওপর আবার ছাত্রলীগের হামলা

ঢাবি প্রতিনিধি |

ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর ও তার সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় নুর ও তার সংগঠনের ৬ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনার এক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে আসেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী। তবে এখনও পুলিশ সেখানে আসেনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রবিবার দুপুরে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতাকর্মীরা বুলবুল ও মামুনের নেতৃত্বে ভিপি নুরের কার্যালয়ে শিবির আছে বলে ইট মারতে শুরু করে। এতে ডাকসু ভবনের জানালার কাঁচ ভেঙে যায়। এরপর নুরের কক্ষে প্রবেশ করেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জীব চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। তখন সঞ্জীব নুরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি শান্ত রাখতে বলেন।

নুর বলেন, ‘সাদ্দাম তো ডাকসু নেতা, কিন্তু আপনি (সঞ্জীব) কে?’

জবাবে সঞ্জীব বলেন, ‘আমি কে, আমাকে প্রশ্ন করছিস? তোকে দেখাচ্ছি মজা। তুই এখনই হাড়ে হাড়ে টের পাবি আমি কে?’

পরে সাদ্দাম নুরকে ৫ মিনিটের মধ্যে তার কক্ষ থেকে বের হওয়ার আল্টিমেটাম দিয়ে সেখান থেকে চলে যান। এর পরপরই সঞ্জীব ও সাদ্দামের প্রায় শতাধিক অনুসারী ভিপির কক্ষে ঢুকে লাইট বন্ধ করে হাতুড়ি, রড, লাঠি ও বাঁশ দিয়ে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে নুরের সংগঠনের নেতাকর্মীরা দরজা বন্ধ করে দেয়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আধা ঘণ্টা ধরে দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন। ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে তারা এক সাংবাদিকের কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নেয়।

ঘটনার প্রায় এক ঘণ্টা পর প্রক্টর গোলাম রব্বানী ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি দরজা খুলতে বলার পর প্রথমে ভিপি নুর দরজা না খুললেও পরে খুলে দেন।

রবিবার বেলা ২টার দিকে ভিপি নুরসহ ছয়জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়৷ তাদের অ্যাম্বুলেন্সে তোলার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। এখনও ছাত্রলীগের তিন শতাধিক নেতাকর্মী ডাকসুর সামনে অবস্থান করছে।

এ বিষয়ে জানতে ঢাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

Print Friendly, PDF & Email