যে কারণে বন্ধ হল ঢাবির করোনা পরীক্ষার ল্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) নতুন করে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

আজ সোমবার থেকে আর করোনাভাইরাসের কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে না বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ল্যাব পরিচালনায় আর্থিক সংকট, নিরাপত্তাহীনতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজ শুরু হওয়া, গবেষণাগারের যন্ত্রপাতি একাডেমিক কাজে ব্যবহারসহ কয়েকটি কারণে এ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

করোনা ল্যাব বন্ধের বিষয়ে ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। আর্থিক কারণে নয়, আমাদের আগে থেকেই কথা ছিল ৩১ মে পর্যন্ত আমরা এটা চালিয়ে যাব। গত ২৭ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এটা তো বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল নয়। আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণায় সময় দিতে হবে। ল্যাবের আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি আমাদের বিভিন্ন বিভাগ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। এগুলো এখন সেখানে গবেষণার কাজে প্রয়োজন হচ্ছে। সেগুলো জীবাণুমুক্ত করে আবার সেখানে স্থাপন করতে হবে। মূলত এজন্য করোনার নমুনা পরীক্ষার কাজটা আর হচ্ছে না।’

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমাবদ্ধতা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অসহযোগিতা ও পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতির অভাবসহ মৌলিক চারটি কারণে ল্যাব বন্ধ হয়েছে বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস রেসপন্স টেকনিক্যাল কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড.শরীফ আখতারুজ্জামান।

এর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতিতে গত ৫ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেস (সিএআরএস) ভবনের ল্যাবে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস রেসপন্স টেকনিক্যাল কমিটি। গবেষণাগারে দুটি পিসিআর মেশিনে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ নমুনা পরীক্ষা করা হতো।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া কিট, পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক খরচে চলতো এই কার্যক্রম। কিন্তু রোববার থেকে সীমিত পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজ শুরু হওয়ায় নমুনা পরীক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

Print Friendly, PDF & Email