লাইসেন্স নেই জেনেও রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক।

লাইসেন্স না থাকায় তিন বার অভিযান চালানো হয়েছিল রিজেন্ট হাসপাতালে। শুধু তাই নয়, করা হয়েছিল জরিমানাও। তা জেনেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে বেসরকারি এই হাসপাতালটির সঙ্গে চুক্তি করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গত ২১ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে রিজেন্ট হাসপাতালের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কীভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চুক্তি করল- এ প্রশ্নে অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমুহ) ডা. আমিনুল হাসান আজ বুধবার জানান, ‘বাধ্য হয়ে’ তা করেছিলেন তারা।

গত মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটার পর শুরুতে ছোঁয়াচে এই রোগে আক্রান্তদের আলাদা রেখে চিকিৎসা দিতে হাসপাতাল খুঁজে পাওয়াটা কঠিন ছিল বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

ডা. আমিনুল বলেন, ‘তারা (রিজেন্ট) সার্ভিসটা দেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছিল। তখন আমরা এই ধরনের হাসপাতাল খুঁজছিলাম। সে কারণে বিশেষ বিবেচনায় তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।’

তখন লাইসেন্স নবায়নের শর্ত দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শর্ত ছিল, তারা অবিলম্বে লাইসেন্স নবায়ন করে নেবে। আমরা তাদের দুবার রিমাইন্ডার দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা নবায়ন করেনি।’

এরপরও রিজেন্টের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপে যায়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কোভিড-১৯ পরীক্ষার সনদ জালিয়াতি, রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টি র‌্যাবের অভিযানে প্রকাশ্য হওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার হাসপাতালটি বন্ধ করার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার বিল বাবদ প্রায় ১ কোটি ৯৪ লাখ টাকার বিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জমা দিয়েছে রিজেন্ট হাসপাতাল।  তবে সে অর্থ পরিশোধ করা হয়নি বলে জানান অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আমিনুল।

তিনি বলেন, ‘তাদের সঙ্গে চুক্তি ছিল তারা বিনামূল্যে রোগীদের চিকিৎসা দেবে। কিন্তু তারা রোগীদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছিল। এ কারণে আমরা তাদের বিল পরিশোধ করিনি।’

ডিএন/এইচএন/জেএএ/১০:১০পিএম/০৮০৭২০২০২৯

Print Friendly, PDF & Email