বৈরুত বিস্ফোরণ: গৃহবন্দী হচ্ছে বন্দরের বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা

দেশনিউজ ডেস্ক।

বৈরুতে ভয়াবহ জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে লেবানন। 

বিশাল এলাকা চুর্ণবিচুর্ণ করে দেয়া এই বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১৩৫ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৫ হাজার। তিন লাখের মতো মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে রাস্তায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। 

বৈরুতের বন্দরের একটি রাসায়নিকের গুদাম থেকে ওই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে।

গুদামটিতে প্রায় ২ হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুত ছিল। ছয় বছর ধরে কোনো ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই এত বিপুল রাসায়নিক দ্রব্য সেখানে পড়ে ছিল।

এর মধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের জন্য বন্দরের বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তাকে গৃহবন্দী করা হচ্ছে। 

দেশটির অর্থমন্ত্রী রায়ক নেহমে বলেন, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুত, এটির নিরাপত্তা এমনকি তথ্য সংরক্ষণ পর্যন্ত ২০১৪ সাল থেকে যারা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন, তাদের সবাইকে গৃহবন্দী করার জন্য আবেদন করা হবে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি এটি অযোগ্যতা এবং সত্যিকার অর্থে খারাপ ব্যবস্থাপনা। এর জন্য পূর্ববর্তী সরকারগুলোর অনেক দায় আছে। এমন বিস্ফোরণ ঘটার পর কারা এর জন্য দায়ী সেটা নিয়ে আমরা চুপ থাকতে চাই না।

এদিকে রাসায়নিক দ্রব্য মজুত নিয়ে বিচার বিভাগ ও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দায়ী করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বৈরুত বন্দর প্রধান এবং কাস্টম প্রধান দুইজনেই স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রাসায়নিক দ্রব্য রপ্তানি এবং বিক্রিতে বন্দরের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগকে একাধিকবার লিখেছেন তারা।

কাস্টম প্রধান বাদরি দাহের জানান, এই রাসায়নিক দ্রব্য সরিয়ে নিতে তার কর্তৃপক্ষ একাধিকবার বলেছিলেন কিন্তু তা করা হয়নি।

এ দিকে বুধবার থেকে দেশটিতে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক শুরু হয়েছে। এর মধ্যে লেবাননের জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছে। ঘটনার জন্য দায়ীদের কঠোর শাস্তি চান তারা।   

ক্ষুব্ধ জনগণের প্রশ্ন, ছয় বছর ধরে কীভাবে এত বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য মজুত করা হলো। বন্দর কর্তৃপক্ষ ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবহেলা ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তারা।

ডিএন/আইএন/জেএএ/১০:৪০এএম/৬৮২০২০৫

Print Friendly, PDF & Email