‘পালিয়েছে’ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা, আরও এক জেলা তালেবানের দখলে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ◾

আফগানিস্তানের আরও একটি জেলা দখলে নিয়েছে তালেবান। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কুনার প্রদেশের নরি জেলা থেকে সরে গেলে তার নিয়ন্ত্রণ চলে যায় সশস্ত্র গোষ্ঠীটির হাতে। এ ছাড়া কাপসিয়া প্রদেশের নিজরাব জেলায় চলছে তুমুল সংঘর্ষ।

আফগানিস্তানের গণমাধ্যম টোলো নিউজ এসব তথ্য জানিয়েছে। 

খবরে বলা হয়, রোববার লড়াই চলাকালে কুনার প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অস্ত্র সরবরাহ না থাকায় সরে যায়। এর পর তা দখলে নেয় তালেবান। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় তালেবানের সঙ্গে লড়াই চলছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের।

কুনার প্রদেশের সংসদ সদস্য জাওয়াদ শাফি বলেন, নরি জেলার দখলে তালেবানকে কোনো প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়নি। বলতে গেলে বিনা প্রতিরোধে তারা জেলাটি দখলে নিয়েছে। এটা নিরাপত্তা বাহিনীর নেতৃত্বের দুর্বলতা প্রকাশ করে।

নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র জানায়, কুন্দুজ প্রদেশের চাহার দারা, পারওয়ান প্রদেশের চারিকার শহর, সামানগান প্রদেশসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তালেবানের সঙ্গে তীব্র লড়াই হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের।

পারওয়ান প্রদেশের গভর্নর ফজলুদ্দিন আয়ার বলেন, তালেবান অস্ত্র এবং আহতের ঘটনাস্থলে ফেলে গেছে। তাদের হামলা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে তখর প্রদেশের ১৬ জেলা তালেবানের দখলে চলে গেছে দুই সপ্তাহ আগে। প্রদেশের রাজধানী তালুকানে এখনও তীব্র লড়াই চলছে।

দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, যেসব এলাকার দখল তালেবান নিয়েছে তা পুনরুদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রোববার থেকে আগের ২৪ ঘণ্টার লড়াইয়ে তালেবানের ১৭০ জন নিহত হয়েছে।

যদিও প্রতিরক্ষা বাহিনীর দেওয়া তথ্য প্রত্যাখ্যান করেছে তালেবান।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফাওয়াদ আমান বলেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যরা ভালো অবস্থানে রয়েছেন। তালেবানের দখল থাকা জেলার সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে আসবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার মধ্যে তালেবানে আফগানিস্তানের দুশর বেশি জেলা দখলে নিয়েছে। এ ছাড়া দখলে নিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর, সীমান্তবর্তী জেলা।  এখনও দেশের অসংখ্য জেলায় তারা লড়ছে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে তালেবান রয়েছে আলোচনার টেবিলেও।

Print Friendly, PDF & Email