কুরবানীর আগেই কওমী মাদরাসা খুলে দেয়ার দাবি

নিজস্ব প্রতিনিধি।

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর ও কওমী মাদরাসা সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন যাবত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কুরআন-হাদীসের শিক্ষাকেন্দ্র কওমী মাদরাসাগুলো বন্ধ হয়ে আছে। শিক্ষার্থীদের পড়া-লেখার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে বহু শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে পড়বে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। তাছাড়া করোনা মহামারি থেকে মুক্তি পেতে হলে অধিক হারে কুরআন-হাদিসের চর্চা ও আমলের প্রয়োজন। যেখানে কুরআন-হাদিসের শিক্ষা হয় সেখানে আল্লাহর রহমত অবতীর্ণ হয়, বিপদ-আপদ দূর হয়। তিনি আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশায় ও করোনা মহামারি থেকে মুক্তি পেতে ঈদের পূর্বেই কওমী মাদরাসাসমূহ খুলে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কওমী মাদরাসাসমূহ খুলে দেয়া এবং কুরবানীর চামড়ার ন্যায্যমূল্যের দাবীতে “কওমী মাদরাসা সংরক্ষণ পরিষদের” উদ্যোগে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানার সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, নায়েবে আমীর মাওলানা মুজীবুর রহমান হামিদী, মুফতি বশিরুল হাসান মুফতি সুলতান মহিউদ্দীন, হাফেজ নুরুল হক, মুফতি হাবিবুর রহমান, মুফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইন, মুফতি জাফর আহমদ, মাওলানা আল আমীন ও মুফতি আখতারুজ্জামান আশরাফী প্রমুখ।

মাওলানা আতাউল্লাহ বলেন, কুরবানীর দিনে ঢাকাসহ সারাদেশে মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাই কুরবানীর পশু জবাই করে থাকে। মাদরাসা বন্ধ থাকলে কুরবানীদাতারা চরম দূর্ভোগে পরবেন, মাদরাসাগুলোও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
মাওলানা আতাউল্লাহ আরো বলেন, চামড়ার তৈরি পণ্যের দাম বাজারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু ২০০০/৩০০০ টাকার চামড়া গত কুরবানীতে ২০০/৩০০ টাকা দামে বিক্রি করতে হয়েছে। গরিবের হক এভাবে নষ্ট হতে দেয়া যায় না। তিনি এবারের কুরবানীর চামড়ার মূল্য নূন্যতম ২০০০/= টাকা নির্ধারন করে দেয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।
মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী কুরবানীর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নির্ধারনের দাবি জানিয়ে বলেন, এক দিকে সরকার দারিদ্র বিমোচনের বুলি ছাড়ছে, অন্যদিকে দরিদ্র ও গরিবদের কুরবানীর চামড়ার ন্যায্যমূল্য প্রদানে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, বর্তমানে গার্মেন্টস-ইন্ডাস্ট্রি, মিল- ফ্যাক্টরি, রেলসহ সকল গণপরিবহন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে, সেখানে মাদ্রাসা বন্ধ রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই। তিনি আল্লাহর ওপর পরিপূর্ণ ভরসা করে সকল কওমী মাদ্রাসাকে ঈদের পূর্বেই খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মাওলানা হামিদী বলেন, যারা গরীবের হক কোরবানির চামড়ার যথপোযুক্ত মূল্য দিচ্ছে না তারা গরীবের দুশমন, মানবতার দুশমন, দেশের শত্রু। দেশ থেকে দারিদ্র্যতা নিরসন হোক এ শত্রুরা তা চায় না। সরকারের উচিত গরিবের হক লুণ্ঠনকারী চামড়া সিন্ডিকেট চক্রকে বিচার করা।

ডিএন/পিএন/জেএএ/৪:৯পিএম/১৬৭২০২০১৫

Print Friendly, PDF & Email