কোরবানি নিয়ে ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না: বাবুনগরী

নিজস্ব প্রতিবেদক।

দেশ-বিদেশে কোরবানি নিয়ে কোনও ধরনের ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। বুধবার  রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘কোরবানি ইসলাম ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্যবান নর-নারীর ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। কোরবানি বছরে কেবল একবার আদায় করতে হয়। এর মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্য ও ভালোবাসা অর্জন হয়৷ তাই দেশ-বিদেশে কেউ কোরবানি নিয়ে কোনও প্রকার ষড়যন্ত্র করলে তা বরদাশত করা হবে না।‘

বাবুনগরী বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ বাংলাদেশের ঢাকা মোহাম্মাদপুর জাপান গার্ডেন সিটি, চট্টগ্রামের হাটহাজারী ফতেয়াবাদ, সিলেটের এমসি কলেজ এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে কোরবানির ব্যাপারে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এলাকা কর্তৃপক্ষ। উপরোক্ত এলাকাগুলোর কর্তৃপক্ষের এরকম দুঃসাহসি সিদ্ধান্তকে ঘৃণাভরে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস আদালত, ব্যবসা বাণিজ্য ও গার্মেন্টস-কোম্পানি  চলতে পারলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানিও অবশ্যই করা যাবে।’

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানি আদায়ের কথা বলার পরেও ওই এলাকাগুলোর  ‘এরকম হঠকারী সিদ্ধান্ত চরম ধৃষ্টতা’ বলে মন্তব্য করেন হেফাজত মহাসচিব।

 তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানালেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শরয়ী পদ্ধতি অনুযায়ী কোরবানি করলে কোনও সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সুতরাং করোনাভাইরাসের অজুহাত দিয়ে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা মানে ধর্মীয় বিধান পালনে অবৈধ হস্তক্ষেপ করা। যা কোনও অবস্থায় মুসলমানরা বরদাশত করতে পারে না।’

অবিলম্বে এরকম নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করার জোর দাবি জানিয়ে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশে কুরবানি নিয়ে কোনও প্রকার ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। প্রয়োজনে তাওহিদী জনতা নিষেধাজ্ঞাকারীদের মোকাবিলায় সুশৃঙ্খল আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।’

এদিকে ভারতের প্রসঙ্গ টেনে জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‘বিশ কোটি মুসলমানদের দেশ ভারতে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানি বন্ধ করার জন্য হাইকোর্টে মামলা করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির এমপি অর্জুন সিং। তাছাড়া কোরবানি উপলক্ষে ভারতীয় মুসলমানদের বিভিন্নভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করা হয়ে থাকে প্রতিবছরই। গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে মুসলমানদের ধর্মীয় বিধান পালনে নিষেধাজ্ঞা এবং হয়রানি করা চরম ঘৃণিত ও নিন্দনীয় একটি কাজ।’ তিনি ভারত সরকারের প্রতি এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আপোরে বিরত থাকার দাবি জানান।

 ডিএন/ইএন/জেএএ/১২:৪৪এএম/২৩৭২০২০১৪

Print Friendly, PDF & Email