প্রখ্যাত সাংবাদিক আনোয়ার জাহিদের দ্বাদশ মৃত্যুবার্ষিকী আজ

দেশনিউজ রিপোর্ট |

প্রখ্যাত সাংবাদিক, অবিভক্ত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজের) দুই মেয়াদের সভাপতি, সাবেক তথ্য মন্ত্রী, প্রাজ্ঞ রাজনীতিক আনোয়ার জাহিদের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (১৩ আগস্ট)। আনোয়ার জাহিদ দৈনিক ইত্তেহাদ, সাপ্তাহিক ধূমকেতু, দৈনিক সংবাদ, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক ইনকিলাব, সাপ্তাহিক হলিডে, সাপ্তাহিক গণবাংলা ও ডেইলি পিপলসের বিভিন্ন পদে কৃতিত্বের সঙ্গে সাংবাদিকতা করেন।

বরেণ্য এ সাংবাদিক নেতা একই সঙ্গে রাজনীতিক ছিলেন। বিএনপির নেতৃত্বাধীন বর্তমান জোটের রূপকার ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার তথ্য উপদেষ্টা হিসেবে।

ছাত্রজীবনে নিখিল পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ছাত্রলীগের ঝিনাইদহ মহকুমার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ’৫২-র ভাষা আন্দোলনে ঝিনাইদহে ছাত্র আন্দোলন গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ’৫৬ সালে রাজশাহী সরকারি কলেজের ভিপি নির্বাচিত হন। ’৫৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান যুবলীগের সেক্রেটারি নির্বাচিত হন। ’৬১ সালে রাজবন্দী হিসেবে গ্রেফতার হন। ’৫৩ সালেই তিনি ইত্তেহাদ-এর এর মাধ্যমে সাংবাদিকতা জীবনে প্রবেশ করেন।

সর্বশেষ তিনি ইনকিলাব টেলিভিশন-এর (আইটিভি) প্রধান নির্বাহী ও দৈনিক ইনকিলাবের উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ’৭০ সালে সাপ্তাহিক গণবাংলার নির্বাহী সম্পাদক, ’৭২ সালে ইংরেজি দৈনিক পিপলসের বার্তা সম্পাদক হিসেবে বাংলাদেশ টাইমসে দায়িত্ব পালন করেন।

আনোয়ার জহিদ শুধু সাংবাদিকতাই করেননি, তিনি সাংবাদিকদের নেতৃত্বও দিয়েছেন সফলভাবে । ’৬২, ’৬৩ ও ’৬৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়ন-এর সাধারণ সম্পাদক, ‘৬৫, ’৬৬ সালে সহ-সভাপতি ছিলেন। পরে ১৯৭৮-৭৯ মেয়াদে প্রথম এবং ১৯৮২-৮৪ মেয়াদে দ্বিতীয় দফায় ডিইউজের নির্বাচিত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তখন সাংবাদিক ইউনিয়ন অবিভক্ত ছিল। ‘৭৮-৭৯ মেয়াদে আনোয়ার জাহিদের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।

রাজনৈতিক জীবনে ১৯৬৫ সালে তিনি ন্যাপের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ’৬৮ সালে ন্যাপের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ’৬৯-এর গণ-আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। গণতন্ত্রী পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং তথ্যমন্ত্রী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের তথ্য উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন এবং সাত দলীয় এবং চারদলীয় জোট গঠনে প্রধান রূপকারের ভূমিকা পালন করেন।

ডিএন/জেএন/বিএইচ/১১ঃ২০এএম/১৩০৮২০২০-২

Print Friendly, PDF & Email