• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

আবরার ফাহাদের ছোট ভাইকে পেটালো পুলিশ, ভাবি লাঞ্ছিত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। আবরার ফায়াজের অভিযোগ, বুয়েটের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকালে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। এ সময় ভিসির সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাকে (ফায়াজ) ও তার ফুপাতো ভাইয়ের স্ত্রী তমাকে পুলিশ মারধর করে।

বুধবার বিকাল ৪টা ৩৭ মিনিটে রায়ডাঙ্গা গ্রামে উপস্থিত হয়ে আবরারের কবর জিয়ারত করেন ভিসি সাইফুল ইসলাম। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য। কবর জিয়ারতের পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। এরপরই আবরার ফাহাদের বাড়ির দিকে রওনা হন ভিসি সাইফুল ইসলাম। কিন্তু স্থানীয় নারী-পুরুষ-শিশুদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। এ সময় আবরার ফায়াজ ও তার ফুপাতো ভাইয়ের স্ত্রী তমা ভিসি সাইফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে চান। কিন্তু তারা পুলিশি বাধার মুখে পড়েন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ভিসির সঙ্গে কথা বলতে চাইলে আবরার ফায়াজ ও তমাকে পুলিশ মারধর করে। তারা আবরার ফায়াজ ও তমার ওপর পুলিশি হামলার বিচার দাবি করেন।

এ ব্যাপারে আবরার ফায়াজ বলেন, ‘আমার ভাইয়া মারা যায় ৭ অক্টোবর রাত ২টার দিকে। আর আজ এতদিন পর ভিসি প্রথমবারের মতো আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে আসেন। এমনকি ঢাকা থেকে রওনা দেওয়ার আগেও আমাদের জনানো হয়নি যে, ভিসি আসছেন। এরপর তিনি আসেন; তার সঙ্গে অনেক নিরাপত্তারক্ষী ছিল। তিনি আমাদের বাসায় আসেননি। তিনি ভাইয়ার কবর জিয়ারত করেন, তখন আমরা প্রশ্ন করি—এতদিন কোথায় ছিলেন? জানাজায় কেন অংশ নেননি? দেখা করেননি কেন? তিনি যে উত্তর দিয়েছেন তা নিতান্তই অযৌক্তিক।’ তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (ভিসি) না আসার কারণ হিসেবে যেসব অযোক্তিক-অজুহাত দিয়েছেন, এ কারণে তার ভিসি থাকার আর যোগ্যতা নেই।’

আবরার ফায়াজ অভিযোগ করেন, ‘ভিসি যখন আমার আম্মুর সঙ্গে দেখা করতে আসছিলেন, হঠাৎ জনগণ স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। এ অবস্থায় ভিসি ফিরে যাচ্ছিলেন, আমি তখন তাদের সঙ্গে কথা বলতে যাই। আর তখন পুলিশ আমার বুকের ওপর কনুই দিয়ে আঘাত করে।’

আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ অভিযোগ করেন, ‘ভিসি এসে আমাদের বাড়ি পর্যন্ত না গিয়েই ফিরে গেছেন। বিক্ষোভের মধ্যে আমার ছোট ছেলে ফায়াজ ও তমার ওপর পুলিশ হামলা করে।’

এ ব্যাপারে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, ‘আপনারা ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজগুলো দেখেন। আমি বলতে পারি, পুলিশের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ মিথ্যা। আবরার ফাহাদের পরিবারের প্রতি যথেষ্ট আন্তরিক পুলিশ। সেখানে এ ধরনের কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি।’

Print Friendly, PDF & Email