উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের জন্য আমৃত্যু কথা বলে গেছেন এমাজউদ্দীন আহমদ

দেশনিউজ ডেস্ক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এমাজউদ্দিন আহমেদ শুক্রবার ভোরে মারা গেছেন।

১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এমাজউদ্দীন আহমদ।

এমাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং দলটির নীতি-নির্ধারণে তার গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ছিল বলে ধারণা করা হতো।

‘সবকিছু ইতিবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার প্রচেষ্টা ছিল তার’

বিভিন্ন মতাদর্শ, ব্যক্তি এবং চিন্তাধারার সমালোচনা করলেও এমাজউদ্দীন আহমদের শেষ পর্যন্ত সবাইকে একত্রিত করার প্রচেষ্টা ছিল বলে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গোবিন্দ চক্রবর্তী।

মি. চক্রবর্তী বলেন, “তিনি অনেক কিছুর সমালোচনা করেছেন, কিন্তু শেষপর্যন্ত সবকিছুতেই ইতিবাচক একটি দিক তিনি দেখতে পেতেন।”

“বাংলাদেশের উন্নয়ন ও টেকসই গণতন্ত্রের জন্য তিনি আমৃত্যু কথা বলে গেছেন।”

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশেষ একটি দলের সাথে যুক্ত থাকলেও অন্যান্য রাজনৈতিক মতাদর্শের কাছেও এমাজউদ্দীন আহমদের গ্রহণযোগ্যতা ছিল বলে মন্তব্য করেন।

মি. চক্রবর্তী বলেন, “তিনি নিজে একটি রাজনৈতিক মেরুতে অবস্থান করলেও অন্যান্য রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রতি তার অগাধ শ্রদ্ধা ছিল।”

“একটি আদর্শের প্রতি সমর্থন থাকলেও পক্ষপাতদুষ্ট ছিলেন না তিনি। সবার চিন্তাধারা, যুক্তি নিয়ে সমন্বয় করে সামগ্রিক উন্নয়নের প্রয়াস ছিল তার মধ্যে।”

দলকেন্দ্রিক রাজনৈতিক চিন্তাধারার বাইরে গিয়ে সামগ্রিক উন্নয়নের উদ্দেশ্যে ‘সমন্বিত উদ্যোগ’ প্রতিষ্ঠা করতে এমাজউদ্দীন আহমদ আমৃত্যু চেষ্টা করেছেন বলে মনে করেন গোবিন্দ চক্রবর্তী।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ জড়িত ছিলেন বহু গবেষণাধর্মী কাজে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কিত তার অনেক বই বিভিন্ন পর্যায়ে বাংলাদেশের পাঠ্যসূচীতেও অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। বিবিসি

ডিএন/পিএন/জেএএ/৬:৫৫পিএম/১৭৭২০২০১৯

Print Friendly, PDF & Email