পাটকল শ্রমিকদের অবরোধে উত্তাল খুলনা

খুলনা ব্যুরো : সোমবার বিকেলে ৪ ঘণ্টা রাজপথ–রেলপথ অবরোধ করে টায়ারে আগুন দিয়ে প্রতিবাদ, সেখানে ইফতারি এবং নামাজ আদায় করেছে খুলনা–যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রয়াত্ব পাটকল শ্রমিকরা। বিজেএমসির সাথে সমঝোতা মোতাবেক বকেয়া মজুরী না পেয়ে পাটকল শ্রমিক লীগ এবং সিবিএ–নন সিবিএ পরিষদের আহবানে গত ৫’মে হতে তারা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি এবং বিকেলে ৪ ঘন্টা অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে।
সোমবার হতে সারা দেশের রাষ্ট্রায়াত্ব সকল পাটকলে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। বিকালে খুলনা–যশোর সড়কে নতুন রাস্তার মোড়ে অবরোধ চলাকালে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ক্রিসেন্ট জুট মিল সিবিএ নেতা মুরাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগ আহ্বায়ক সরদার মোতাহার উদ্দিন। আরো বক্তব্য রাখেন সোহরাব হোসেন, দ্বিন মোহাম্মদ প্রমুখ।
সরদার মোতাহার উদ্দিন বলেন, সমঝোতা মোতাবেক ২৫ এপ্রিলের মধ্যে দশ সপ্তাহর মজুরী দেবার কথা ছিল, কিন্তু আজও দেয়া হয়নি। সমঝোতা মোতাবেক ১৮ মে তারিখের মধ্যে মজুরী কমিশন বাস্তবায়নে পে স্লিপি ফিকসেশন করার কথা। ১৮ মে মজুরী কমিশন বাস্তবায়নের ফিকসেশন না দেখে কোন শ্রমিক কাজে যোগদান করবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন শুধু বকেয়া মজুরী পরিশোধ করলে হবে না, মজুরী কমিশন বাস্তবায়ন না হলে এই ধর্মঘট প্রত্যাহার হবে না ।
এর আগে প্রতিদিনের ন্যায় শ্রমিকরা থালা–বাসন নিয়ে বিকাল চারটার পর মিছিল করে নতুন রাস্তার মোড়ে জমায়েত হয়। এই সময় রাজপথ এবং রেলপথে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
এদিকে গতকাল রাতে আওয়ামী লীগ মহানগর কমিটি ইমেইল বার্তায় বিবৃতিতে ঈদের আগে পাটকল শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করার দাবি জানিয়েছে । এই বিবৃতিতে শ্রম–কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ানের নাম ছিল । আবার দুপুরে জেলা আইন শৃংখলা রক্ষাকারী কমিটির সভায় শ্রম ও কর্ম সংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান কিছু অসাধু শ্রমিক নেতা অসন্তোষ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেন এবং আওয়ামী লীগ সরকার আমলে দশ দফায় মজুরী বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করেন যা স্থানীয় তথ্য অধিদপ্তর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email