৭১’র জামায়াত আর ২০১৯ এর জামায়াত এক নয়, তারা দেশপ্রেমিক শক্তি: অলি

নিজস্ব প্রতিবেদক: নবঘোষিত রাজনৈতিক প্লাটফর্ম ‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চে’র প্রধান কর্নেল অব অলি আহমেদ বলেছেন, ১৯৭১ সালের জামায়াত আর ২০১৯ সালের জামায়াত এক না । দেশকে তারা অনেক ভালোবাসে, তাদের মধ্যে অনেক সংশোধনী এসেছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় মুক্তি মঞ্চের ঘোষণা উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। অলি আহমেদের আরও বলেন, জামায়াত নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তারা দেশপ্রেমিক শক্তি। যারা দেশকে ভালবাসে, দেশকে মুক্ত করতে চায়, দেশবাসীকে মুক্ত করতে চায়, যারাই আমাদের সঙ্গে আসতে চাইবে তাদেরকে আমরা সঙ্গে নেবো। কিন্তু দালাল-বেঈমানদের না।

নতুন নির্বাচন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন লিবারেল ডেমক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব) অলি আহমেদ, বীর বিক্রম। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকাল ৪টার কিছু আগে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিমের সঙ্গে একই গাড়িতে করে প্রেস ক্লাবে আসেন অলি আহমেদ।

এসময় দলের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে তাদের স্বাগত জানান। মঞ্চে অলি আহমেদের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন, এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, জাগপার নেতা তাসমিয়া প্রধান, খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, ইসলামী সঙ্গীত শিল্পী মুহিব খান।

এরা ছাড়া ২০ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ আর কেউ সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন না। মঞ্চেও জামায়াতের সুপরিচিত কোনও নেতা ছিলেন না। তবে সরেজমিনে দেখা যায়, দর্শক সারিতে ছিলেন জামায়াতের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এসময় তাদের অনেককেই ছবি তুলতে ও ভিডিও ধারণ করতে দেখা যায়।

জামায়াত নেতাদের উপস্থিত না থাকার বিষয়ে এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, নেতাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা কেউ আসেননি। তবে দর্শক সারিতে তাদের নেতাকর্মীরা ছিলেন।

এসময় মঞ্চে না বসলেও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনি।

Print Friendly, PDF & Email