লক্ষ্মীপুরে অনুমোদন ছাড়া স্কুলের নাম পরিবর্তন, আইনজীবির লিগ্যাল নোটিশ

লক্ষীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার কে. এম. ইউনাইটেড একাডেমির নাম পরিবর্তনকে ‘বিকৃতি’ অভিযোগ করে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী। তিনি স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী।

অ্যাডভোকেট রাসেল মাহমুদ নামের ওই আইনজীবী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ‘ উক্ত বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক নাম বিকৃতির প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি আইনী নোটিশ প্রেরণ করেছি। নোটিশ প্রেরণের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি উক্ত বিদ্যালয়ের ২০১২ এসএসসি ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র। সম্প্রতি একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে লিগ্যাল অ্যাডভাইজর পদে আবেদন করলে ভাইবা বোর্ডে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত সার্টিফিকেটে বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক নামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদত্ত প্রশংসাপত্রে বিদ্যালয়ের নামে গরমিল পরিলক্ষিত হলে আমাকে বিব্রত হতে হয়। আমি বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন প্রাক্তন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বললে তারাও বিভিন্ন কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ চাকরির ক্ষেত্রে একই অভিজ্ঞতার কথা জানান। তাই বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক নাম কে. এম. ইউনাইটেড একাডেমির সঙ্গে স্কুল প্রদত্ত প্রশংসাপত্রে ব্রাকেটবন্দি মাঝিরগাঁও শব্দটি যুক্ত করার যৌক্তিকতা জানতে চেয়ে নোটিশ প্রেরণ করলাম।”

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরো জানান, ‘উক্ত বিদ্যালয়ের আরো কয়েকজন প্রাক্তন শিক্ষার্থীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলে জানা যায় যে, ১৯৫৫ সালে কাশিমনগর ও মাঝিরগাঁও গ্রামের শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিগণের উদ্যোগে দুই গ্রামের নামের আদ্যক্ষর নিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানায় কে. এম. ইউনাইটেড একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়। যে নামটি দাপ্তরিক সকল ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে স্কুলের নামের শেষে অনুমোদনহীনভাবে ব্রাকেটবন্দি করে মাঝিরগাঁও শব্দটি ব্যবহার করায় এলাকার সচেতন মহলেও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email